শেষ আপডেট: 29th January 2025 17:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছিল মহাকুম্ভে। এই কারণে দীর্ঘক্ষণ স্থগিত রাখা হয়েছিল পুণ্যস্নান। কিন্তু বুধবার দুপুরের কিছু পরেই ফের 'অমৃত স্নান' শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হওয়ার পথে। নতুন করে শাহি-স্নান শুরু হওয়ার সময়ে 'পুষ্পবৃষ্টি' করানো হয়।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে লক্ষ লক্ষ ভক্তের জনস্রোত বইতে থাকে পুণ্যস্নানের উদ্দেশে। মধ্যরাতে এক সময়ে ভেঙে পড়ে ব্যারিকেড। হুড়োহুড়ির জেরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, অন্তত ১৫ জনের প্রাণ গেছে এই ঘটনায়। তবে সরকারি ভাবে এখনও মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি। এদিকে প্রয়াগরাজ পুলিশের তরফে ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ দাবি করেছেন, পদপিষ্টে যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কেউই আশঙ্কাজনক নন, প্রত্যেকে বিপন্মুক্ত। মৃতের সংখ্যা নিয়ে তিনি কোনও 'রা' কাড়েননি।
পদপিষ্টের ঘটনার পরে গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সংযোগস্থল ত্রিবেণী সঙ্গম কার্যত খালি করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন আবার সেখানে একে একে যেতে শুরু করেছেন সাধু-সন্ন্যাসী, ভক্তরা। তথ্য বলছে, মঙ্গলবার যখন পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে, তখন কুম্ভমেলায় হাজির ছিলেন ৮ কোটি মানুষ। এর মধ্যে শাহি-স্নানের উন্মাদনায় গা ভাসিয়েছিলেন সাড়ে ৫ কোটি।
কিছু পুণ্যার্থীদের বিরুদ্ধে ধাক্কা মারার অভিযোগও তুলেছেন কয়েকজন। তাঁরা দাবি করেছেন, ভিড় বাড়তে থাকলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি, উল্টে ধাক্কা মারা হয় জলের মধ্যে। তার জন্য আরও শোরগোল শুরু হয়। এই কারণে বহু ভক্ত মৌনী অমাবস্যার স্নান না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হন।
কুম্ভমেলায় এমন দুর্ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মেলার ইতিহাস বলছে, এর আগেও পুণ্যস্নানে এসে পদপিষ্ট হয়েছেন বহু মানুষ। ১৯৫৪ সালের প্রথম কুম্ভমেলা থেকে ২০২৫, তালিকাটা খুব একটা ছোট নয়। এর আগে ১৯৮৬, ২০০৩, ২০১৩ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছে।