শেষ আপডেট: 18th December 2023 08:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিন্দুদের ঝটকা মাংস খাওয়া উচিত, হালাল একেবারেই নয়, এমনই নিদান দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বেগুসরাইতে গিয়ে একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, “হিন্দুরা হিন্দুদের থেকে মাংস কিনবে— মুসলমানরা মুসলমানদের থেকে! সে দিন তো চলে গেছে! এখন হিন্দুরা মুসলমানদের থেকে মাংস কিনছে। ওই মাংস হালাল যা হিন্দু ধর্মবিরোধী। হিন্দুদের ঝটকা মাংস খাওয়া উচিত। “
এখন প্রশ্ন হল এই ঝটকা মাংস কী? এক ঝটকায় কোপ মেরে যে মাংস কাটা হয় তাই হল ঝটকা মাংস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, হিন্দুদের বলি প্রথায় ঠিক যেভাবে এক কোপে বলি দেওয়া হয়, সেটাই হল ঝটকা। সনাতন হিন্দুরা একসময় এই বলির মাংসই খেত। কিন্তু এখন মুসলমানদের দোকান থেকে মাংস কিনে খায়। মুসলমানরা যেভাবে পশু জবাই করে তা হল হালাল, এই হালাল মাংস হিন্দুদের ধর্মবিরোধী বলেই দাবি মন্ত্রীর।
গিরিরাজ বলেন, “আগে তো ‘হিন্দুরা’ মুরগির মাংসও খেত না। ছুঁত না। এখন তো সব খাচ্ছে।”
বিহারে ‘শ্রীমদ ভাগবত কথা জ্ঞাপন’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং। সেখান বক্তব্য রাখতে গিয়ে গীতা পাঠের মাহাত্ম্য বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের গীতা পড়ালে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল হবে বলেও দাবি করেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকের দিনে ভারতীয় অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানকে ছোটবেলাতেই মিশনারি স্কুলে পড়তে পাঠান। এদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীকালে কলেজ পাশ করে উচ্চশিক্ষা বা কাজের জন্য বিদেশে যায়। আর সেখানে গিয়ে গরুর মাংস খায়। ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে না জেনেই এই কাজ করে তারা। ছোটবেলা থেকে অভিভাবকরা তাদের যদি গীতা পাঠ করাতেন তাহলে এই অবস্থা হত না।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানে বিজেপি বিধানসভা ভোটে জেতার পরেই দলের এক সদ্যনির্বাচিত বিধায়ক মাংসের দোকান এবং কসাইখানা বন্ধ করতে রাস্তায় নেমেছিলেন। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার খোলাবাজারে মাছ, মাংস বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করার কথা বলেছে। অর্থাৎ খোলাবাজারে আমিষ জিনিস যেমন মাছ, মাংস বা ডিম বিক্রি বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার।