প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 26 April 2025 15:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহেলগামে তীর্থযাত্রীদের ওপর জঙ্গি হামলার জেরে বড় পদক্ষপ নিয়েছে ভারত সরকার। পাক নাগরিকদের দেশে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরই আতঙ্কে দিন কাটছে পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীদের (Hindu refugees)। তাঁদের আর্জি, 'এখানেই মরে যাব, কিন্তু দেশে ফিরব না'।
কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের নাগরিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা রয়েছে তাঁদের জন্য এই নির্দেশ নয় বলে স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র।
তারপরও নির্দেশ ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে হিন্দু শরণার্থীদের মধ্যে। তাঁদের কথায়, 'ওখানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েই এদেশে পালিয়ে এসেছিলাম। আবারও সেখানে ফিরে যেতে হলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকতে পারে।' রাজস্থানের জয়সলমীরের রিফিউজি কলোনিতে দীর্ঘদিন ধরে বহু শরণার্থীরা পরিবার নিয়ে রয়েছেন। এঁরা সকলেই ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
তাঁদেরই অন্যতম খেটো রাম পাকিস্তানে লাগাতার হেনস্থার মুখে পড়ছিলেন। অবশেষে সব সম্পত্তি বিক্রি করে পহেলগাম হামলার (Pahalgam Terror Attack) কয়েকঘণ্টা আগেই স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ভারতে আসেন। 'আবার যদি ফিরতে হয়', আতঙ্ক তাড়া করছে খেটো রামকে! এক সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "ভারতে থেকেই মরে যাব কিন্তু পাকিস্তানের মত 'নরকে' ফিরে যেতে চাই না।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কাছে তাঁর পরিস্থিতি বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছেন। আরও এক শরণার্থী বালম ও তাঁর স্ত্রী দেশে ফিরে যেতে চান না। তাঁদের আর্জি, 'আমাদের যা কিছু ছিল ছেড়ে চলে এসেছি। দয়া করে আমাদের ফিরিয়ে দেবেন না।'
মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (USCIRF)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তারা 'পাকিস্তানের কঠোর ব্লাসফেমি আইনের অধীনে নিপীড়ন এবং বিচারের চাপ' সহ্য করছে।রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে 'বিশেষ উদ্বেগের দেশ' হিসেবে পুনর্নির্ধারণ করুক মার্কিন সরকার।