শেষ আপডেট: 25th January 2025 15:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার নিয়ন্ত্রিতভাবে গাঁজা চাষের সিদ্ধান্ত নিল হিমাচল প্রদেশ সরকার। চিকিৎসা, শিল্প এবং বৈজ্ঞানিক উদ্দেশে গবেষণা ও আরও বিস্তারে জানার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর মন্ত্রিসভা। জানা গেছে, ইতিমধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দু’টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রিতভাবে পাইলট প্রকল্প হিসাবে চাষের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখুর নেতৃত্বে হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রিসভা এবিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। পালামপুরের চৌধুরী সারওয়ান কুমার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. ওয়াই.এস. পারমার হর্টিকালচার নৌনি বিশ্ববিদ্যালয়কে যৌথভাবে গাঁজা চাষের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদিও মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব বিরোধীরা।
হিমাচল প্রদেশ সরকারের ভাবনা এই গবেষণা ভবিষ্যত পরিকল্পনার মূল্যায়ন করবে এবং কোন জাতের গাঁজা কত পরিমাণে চাষ করা উচিত তার একটা সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি করবে। পাশাপাশি কীভাবে তা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা যায় তার সঠিক মূল্যায়ন হবে।
হিমাচল প্রদেশে গাঁজা চাষ আগে থকেই নিষিদ্ধ রয়েছে। এনডিপিএস অ্যাক্ট ১৯৮৫-এর ধারা ১০ এবং ১৪-এর অধীনে চিকিৎসা ক্ষেত্র, বৈজ্ঞানিক এবং শিল্প উদ্দেশ্যে গাঁজা চাষ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে হিমাচল প্রদেশ সরকার রাজস্ব মন্ত্রী জগৎ সিং নেগির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল।
কমিটি উল্লেখ করেছে যে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীরে গাঁজার নিয়ন্ত্রিত চাষ করা হয়। সেই রিপোর্ট পেয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে হিমাচল সরকার। কমিটি অনুমান করেছে, যে রাজ্যটি প্রাথমিক বছরেই এই চাষ থেকে ৪০০-৫০০ কোটি রাজস্ব তৈরি করতে পারে।
উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশের মতো হিমাচল প্রদেশও একই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে গাঁজার নিয়ন্ত্রিত চাষ অনুমোদন করা হয়েছে।