পাটনা হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের।
শেষ আপডেট: 26th September 2024 08:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেকআপের জিনিসপত্র এবং একজন বিধবা সম্পর্কে হাইকোর্টের করা পর্যবেক্ষণকে 'অত্যন্ত আপত্তিকর' বলে উল্লেখ করল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি বলেছেন, এই ধরনের মন্তব্য আইনের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সংবেদনশীলতা এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
১৯৫৮ সালে বিহারের মুঙ্গেরে একটি খুনের মামলায় পাটনা হাইকোর্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছিল। তারই শুনানিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
জানা গেছে, মূল মামলায় একজন মহিলাকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছিল, যে ওই মহিলার বাবার একটি বাড়ির দখল পাওয়ার জন্য এই কাণ্ড ঘটায় অভিযুক্তরা। পাটনা হাইকোর্ট এই মামলায় পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে অন্য দুই সহ-অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছিল।
এই মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্ন উঠেছিল, যে বাড়িটি থেকে ওই মহিলা অপহৃত হয়েছেন, তিনি আদৌ সেই বাড়িতে বাস করতেন কিনা। সওয়াল জবাবের পরে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই বাড়িতে যেহেতু কিছু মেকআপের সামগ্রী ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি এবং অপহৃত মহিলা যেহেতু বিধবা ছিলেন, তাই ধরে নেওয়া যায় ওই বাড়িতে তিনি থাকতেন না। এই মর্মেই দুই অভিযুক্তকে ছাড় দিয়েছিল আদালত।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার একটি বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, সাক্ষ্যপ্রমাণে যেখানে ইঙ্গিত মিলেছে যে মহিলা ওই বাড়িতেই থাকতেন, সেহেতু মেকআপের সামগ্রী দেখে বিধবা হিসেবে তা ব্যবহার না করার সম্ভাবনা কীভাবে প্রামাণ্য তথ্য হতে পারে?
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, 'আমাদের মতে, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ কেবল আইনগতভাবে অযোগ্য নয়, এটি অত্যন্ত আপত্তিকরও। এই প্রকৃতির একটি সুস্পষ্ট পর্যবেক্ষণ আইন বা আদালত থেকে প্রত্যাশিত সংবেদনশীলতা এবং নিরপেক্ষতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।'
বিচারপতিদের তরফে আরও বলা হয়, 'কেবল কিছু মেক আপ সামগ্রীর উপস্থিতি এই সত্যের চূড়ান্ত প্রমাণ হতে পারে না যে কোনও মহিলা সেই বাড়িতে থাকতেন কি থাকতেন না। মেক আপের জিনিসগুলিকে অযুক্তির ভিত্তিতে মৃত মহলার সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়েছিল।'