শেষ আপডেট: 31st July 2024 15:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারতে গত ক’দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। তবে উত্তর ভারতে দিল্লির পরেই খারাপ অবস্থা লখনউয়ের। শহরের সিংহভাগ এলাকা জলমগ্ন। জনজীবন একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে পডেছে। লাইনে জল জমে থাকায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত। বহু ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। লোকাল ট্রেনও বন্ধ।
লখনই শহরের গা ঘেঁষে গিয়েছে গোমতী নদী। বর্ষায় নদীর জলের প্রবাহ থেকে শহরকে রক্ষা করতে উঁচু বাঁধ দেওয়া আছে। ফলে সরাসরি শহরের জমা জল নদীতে যেতে সমস্যা হয়। সেই কারণে রাজভবন, বিধানসভা, সচিবালয় এবং মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাড়ি তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট এলাকা মাটি ফেলে উঁচু করে নেওয়া হয়। ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে উঁচু এলাকায় অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলিতেও জমে গিয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বুধবার দুপুরে বিধানসভার যে গেট দিয়ে ঢুকেছিলেন বেরনোর সময় দেখা যায় সেটি কোমর সমান জলের তলায় ডুবে আছে। বিধানসভার সাতটি গেটের একটি এখন গাডি চলাচলের উপযোগী। সেই গেট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বের করা হয়।
সমস্যা দেখা দেয় ৫ নম্বর কালীদাস মার্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেও। মুখ্যমন্ত্রী আবাসের গেট, উঠোন জুড়ে জল। অদূরে রাজ্য সচিবালয়ও জলের তলায়। জল জমে আছে বিধানসভার সচিবালয়েও।
জরুরি ভিত্তিতে সরকার কয়েক শো বালতি কিনেছে। বালতিতে ভরে ভরে অফিস-ঘরের জমা জল সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, লখনউতে এমন বৃষ্টিপাতের নজির কমই আছে। তবে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মূল শহরের আশপাশে মাথা তুলেছে বিশাল মাপের সব উপনগরী। হাজার হাজার ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে সেখানে। বর্ষায় শহরের জল একটা সময় এই সব এলাকায় গিয়ে জমা হত। সেখানে এখন আবাসন হলেও নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।