সুচির বালাজির মা পূর্ণিমা রাও।
শেষ আপডেট: 16th January 2025 23:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'ওপেনএআই, চ্যাটজিপিটি-র নির্মাতা আমার ছেলেকে হত্যা করেছেন। ওর কাছে এমন কিছু প্রমাণ ছিল যা তাঁদের সংস্থার জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারত। ঠিক সেই কারণেই যাতে কেউ তা জানতে না পারে তাই আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।' এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এআই গবেষক সুচির বালাজির মা পূর্ণিমা রাও।
আমেরিকান অনুষ্ঠানের একটি সাক্ষাৎকারে পূর্ণিমাদেবী জানান, সুচির কাছে সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক নথি ছিল। তারা ঠিক কী করছে, বা করতে চাইছে সে ব্যাপারে আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তাঁর ছেলে।
পুরনো সংস্থা কপিরাইট আইন লাগাতার ভাঙছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সুচির বালাজি। ছেলের মৃত্যুর পর তাঁর মাও একইরকম অভিযোগ তুলেছেন। এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের মনে হয়েছিল কোম্পানি নিজেদের ফোকাস বদলে ফেলেছে। বেশি করে কী করে টাকা উপার্জন করা যায় তার দিকে মন দিয়েছিল। তিনি এও বলেন, ছেলের বিশ্বাস ছিল এআই মানবজাতির পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। সেই কারণেই আর মানাতে না পেরে সংস্থা ছেড়ে দেন সুচির।
সুচির মায়ের কথায়, গোটা বিষয় নিয়ে সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন সুচির। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বরং দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। অবশেষে কার্যত চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন সুচির। চাকরি ছাড়ার পর সংবাদমাধ্যমে এআই-এর সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। এর জন্য তাঁকে বকাবকিও করেছিলেন। বলেছিলেন, কখনই সুচিরের একা এতকিছু বলা উচিত হয়নি, সংবাদমাধ্যমে মুখ দেখানো উচিত হয়নি। কিন্তু সুচির এসবে ভয় পাননি।
এই ঘটনার কিছু পরেই ২৬ তম জন্মদিন পালন করেছিলেন সুচির। তাঁর মা জানান, সে খুশি ছিল। কিন্তু কদিন পরই তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। বেশ কিছুদিন ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় সন্দেহ বাড়ে তাঁদের। পুলিশে অভিযোগ জানালে তাঁরা সুচিরের ফ্ল্যাটে যায়। বন্ধ দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আত্মহত্যা করেছেন সুচির। যদিও তাঁর বাবা-মা এটা মানতে রাজি নন। তাঁরা এখন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন, ছেলের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চান তাঁরা।