শেষ আপডেট: 26th July 2024 08:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুড়ে যাওয়া কিছু প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই। তা থেকেই তারা জানতে পারল বেশকিছু তথ্য। আর সেটাই চাঞ্চল্যকর। নিট কাণ্ডের তদন্ত হাতে নেওয়ার পর একাধিক গ্রেফতারি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার গ্রেফতার হতে পারেন হাজারিবাগের এক স্কুলের প্রিন্সিপালও। কারণ সিবিআই দাবি করেছে, তিনিও এই প্রশ্ন চুরির সঙ্গে জড়িত।
সিবিআই নিটের প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত ইস্যুতে জানিয়েছে, গত ৫ মে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। এই কাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' পঙ্কজ কুমারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল, ভাইস-প্রিন্সিপালও। শুধু তাই নয়, প্রশ্ন চুরি করার পর তা পাঠিয়ে দেওয়া হত হাজারিবাগের একদল এমবিবিএস পড়ুয়ার কাছে। তারাই তা সমাধান করে দিত। এরপর একে একে সেগুলি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হত পরীক্ষার্থীদের কাছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আগেই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, দেশজুড়ে নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, তবে স্থানীয় এলাকায় তা ছড়ানো হয়েছে। আর এখন তারা স্পষ্ট করেছে, এই কাজের জন্য মূল অভিযুক্তের মতো দায়ী ওয়েসিস স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং ভাইস প্রিন্সিপাল। ট্রাঙ্ক-ভর্তি প্রশ্নপত্র তাঁদের স্কুলের কন্ট্রোল রুমেই রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই তা চুরি করা হয়।
ওয়েসিস স্কুলের প্রিন্সিপাল এসানুল হক এনটিএ-র সিটি কোয়ার্ডিনেটর ছিলেন। আর ভাইস প্রিন্সিপাল ইমতেয়াজ আলম ছিলেন সেন্টার সুপারিন্টেনডেন্ট। সিবিআই মনে করছে, এই কারণেই খুব সহজে তারা প্রশ্ন চুরি করতে পেরেছিল। এমন সুকৌশলে ট্রাঙ্কের তালা খোলা হয়েছিল যে সেটি ধরাই যায়নি।
সম্প্রতি এই তথ্যও উঠে এসেছে, ৩৫ থেকে ৬০ লক্ষ টাকায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র কিনেছিলেন পড়ুয়ারা! চুক্তি ছিল, ডাক্তারিতে সুযোগ পেলে দিতে হবে আরও ২০ লক্ষ টাকা করে। এভাবে ১২০ থেকে ১৫০ জন পরীক্ষার্থীর কাছে গিয়েছিল এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র। বিহারের পড়ুয়াদের জন্য রেট বাঁধা ছিল ৩৫-৪৫ লাখ টাকায়, আর অন্যদের জন্য ৫৫-৬০ লাখ টাকা। গুজরাতের গোধরা, মহারাষ্ট্রের লাতুর, ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ ও পাটনা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছিল এই প্রশ্ন।