শেষ আপডেট: 4th July 2024 16:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাথরাসে পদপিষ্টের ঘটনায় ১২১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা, স্বঘোষিত ধর্মগুরু নারায়ণ সাকার ওরফে 'ভোলে বাবা' এখনও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে আড়াল থেকেই ঘটনার দায় সমাজবিরোধীদের দিকে ঠেলেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পুলিশ আয়োজক সংস্থার ৬জনকে গ্রেফতারও করেছে। তবে আয়োজক সংস্থার প্রধান যিনি সেই ভোলেবাবার বিরুদ্ধে পুলিশ এখনও কেন সরাসরি কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি সেই প্রশ্নও উঠছে।
সূত্রের খবর, এর আগেও ভোলে বাবার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগও উঠেছিল। তখনও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। হাথরাসের ঘটনার পর স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরনো মামলাগুলি পুলিশ নতুন করে নাড়াচাড়া শুরু করলেও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়দের একাংশ।
তাঁদের বক্তব্য, ভোলে বাবার আসল নাম সুরজ পাল। শুরু থেকে তিনি সাধু ছিলেন না। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে চাকরি করতেন! ধর্মীয় উপদেশ দেওয়ার জন্য পরে চাকরি ছেড়ে আশ্রম খোলেন। সেই সূত্রে প্রশাসনের অভ্যন্তরেও তাঁর দাপট রয়েছে। যে কারণে অতীতে যৌন হেনস্তার অভিযোগও বছরের পর বছর ফাইলবন্দি হয়েই রয়েছে।
যদিও গোপন ডেরা থেকে পাঠানো অডিও বার্তায় ভোলে বাবা ওরফে সুরজ পালের দাবি, তাঁর দুর্নাম করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিছু সমাজবিরোধী। এবং তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেছেন অডিও বার্তায়।
হাথরাসের ঘটনায় ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ব্রিজেস কুমার শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গড়েছে রাজ্য। এদিকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। পদপিষ্টের ঘটনায় এদিন মৃতদের পরিজনরা দেহগুলি শনাক্ত করেছেন।