Advertisement
নতুন সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে ভোলেবাবার
Advertisement
শেষ আপডেট: 4 July 2024 14:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাথরাসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর বেপাত্তা স্বঘোষিত সেই ধর্মগুরু ভোলে বাবা। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ ভোলে বাবা এবং অনু্ষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতেই ভোলে বাবার বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই তথ্য দেখেই কার্যত চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের।
ইটাহ জেলার পাটিয়ালি তেহশিলে বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা ভোলে বাবা। সেখানেই রয়েছে তাঁর মূল আশ্রম। কিন্তু তদন্তকারীরা তাঁর আরও একটি আশ্রমের খোঁজ পেয়েছেন যেটি হয়েছে মৈনপুরীতে। তথ্য অনুযায়ী, ১৩ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে ওই আশ্রম। চোখ ধাঁধানো আশ্রম কোনও পাঁচতারা হোটেলের থেকে কম নয়। আর যে জমিতে এই আশ্রম তৈরি করেছেন ভোলে বাবা তারই দাম ৪ কোটি টাকা!
ভোলে বাবার আসল নাম সুরজ পাল। যদিও শুরু থেকেই সাধু ছিলেন না তিনি। তাঁর দাবি, একটা সময় পর্যন্ত তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে চাকরি করতেন! ধর্মীয় উপদেশ দেওয়ার জন্য তিনি নাকি চাকরি ছেড়ে দেন! ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এর আগে যৌন হেনস্তার অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু তখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। এখন হাথরাসের এই ঘটনার পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরনো মামলাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যে আশ্রমের খোঁজ পুলিশ পেয়েছে তাতে অন্তত ১৫-২০টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি ঘর শুধুমাত্র ভোলে বাবার নিজস্ব কাজের জন্য ছিল। বাকি ৬-৭টি ঘর বরাদ্দ ছিল আশ্রমের কমিটির সদস্য এবং ভলেন্টিয়ারদের জন্য। লাক্সারি লাইফ এখানেই শেষ হচ্ছে না ভোলে বাবার। এই আশ্রমে আসার জন্য একটি প্রাইভেট রাস্তাও ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাহি এক ক্যাফিটেরিয়াও রয়েছে আশ্রমে। তদন্তে এও উঠে এসেছে, এমন আরও একাধিক সম্পত্তি দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভোলে বাবার নামে। তাদের দাম অন্তত কোটি টাকার কাছাকাছি।
পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর থেকে 'ভোলে বাবা'র পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তিনি আড়ালে থেকে ইতিমধ্যে বার্তাও দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরই ওই ঘটনা ঘটেছে এবং তা ঘটিয়েছে কিছু সমাজবিরোধীরা! কিন্তু তিনি সামনে না এলেও পুলিশের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে কড়া বার্তা দিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক কমিটি তৈরি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই কমিটিতে রয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ব্রিজেস কুমার শ্রীবাস্তব। তাঁর নেতৃত্বে কাজ করবেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার হেমন্ত রাও এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার ভাবেশ কুমার সিং।
হাথরাসের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক মহল আন্দোলিত। বিরোধী শিবির চাঁচাছোলা আক্রমণ করা শুরু করেছে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে। কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, কীভাবে একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু এমন অনু্ষ্ঠান করার অনুমতি পেলেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার হাথরাস যাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
Advertisement
Advertisement