শেষ আপডেট: 11th April 2025 15:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৫ সালে হরিয়ানার পানিপথে সেই ঘোষণা করেন মোদী। কিন্তু, একটি অনুসন্ধানী খবরে প্রকাশ, সেই হরিয়ানাতেই পুত্রসন্তানের আকাঙ্ক্ষায় গণ কন্যাভ্রুণ হত্যা ও কন্যাশিশু হত্যা চক্র রমরমিয়ে চলছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, হরিয়ানায় পুত্র ও কন্যার জন্মের অনুপাত দিনদিন কমছে। ২০১৯ সালে যেখানে ১,০০০টি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়েছিল, সেখানে কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছিল ৯২৩। ২০২৪ সালে কন্যাসন্তানের সংখ্যা আরও কমে দাঁড়ায় ৯১০।
সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়া টুডের অনুসন্ধানী রিপোর্টে জানা যায়, পূজা (নাম পরিবর্তিত) নামে দুই কন্যা সন্তানের মাকে তৃতীয় সন্তানের ভ্রুণ মেয়ে থাকায় গর্ভপাতে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু, পূজা সব ভয়ভীতি দূর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সেই মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন। এই মামলায় হিসারের সরকারি ডাক্তার অবৈধ গর্ভপাতের দালাল উষা নামে একজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এফআইআর করেন।
পূজার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং যে ডাক্তার ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এরপরেই সরকার তৎপর হয়ে ওঠে এবং একটি টাস্কফোর্স গঠন করে সর্বাত্মক তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে নেমেছে। ১০৪ হেল্পলাইনে নিদেনপক্ষে একটি কন্যাসন্তানের মা এরকম ৬২ হাজার মহিলার কাউন্সেলিং করা হয়। আশা কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন গর্ভবতী মহিলা যাঁদের আগে কন্যাসন্তান রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযাগ রাখেন।
সফলভাবে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে এক হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। অবৈধ গর্ভপাত রুখতে সরকারি পদক্ষেপে ১৫০০টি মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অথবা গর্ভপাত কেন্দ্রগুলির অন্তত ৩০০টির অনুমোদন বন্ধ করা হয়েছে কিংবা তারাই বন্ধ করে দিয়েছে। টাস্কফোর্সের প্রধান জানিয়েছেন, ২৩টি গর্ভপাত কেন্দ্রকে নোটিস দেওয়া হয়েছে এবং গর্ভপাতের সরঞ্জাম সরবরাহকারী অনলাইন বিক্রেতাদের ১৭টির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ডাক্তার এবং তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছে হরিয়ানা সরকার।