শেষ আপডেট: 11th October 2024 11:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাহুল গান্ধী কো গুসসা কিঁউ আতা হ্যায়! জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় শোচনীয় ফল এবং হরিয়ানায় হারের হ্যাটট্রিকের পর ইন্ডিয়া জোটে বেশ খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। সেই পরাজয়ের পর্যালোচনা বৈঠকে শান্ত-ধীরস্থির মেজাজের রাহুল গান্ধী হঠাৎই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। বৈঠকের অন্দরের খবর যেটুকু জানা গিয়েছে, তাতে বিরোধী দলনেতা রাহুল আচমকাই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকেই দোষী সাব্যস্ত করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুবই সংক্ষিপ্ত সেই পর্যালোচনা বৈঠকে রাহুল তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতৃত্ব স্বার্থপর এবং তাঁদের কারণেই দলকে হারতে হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে তাঁর বাসভবনে নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেস দলনেতা খাড়্গে ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন হরিয়ানা ভোটের পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন, অশোক গেহলট, দীপক বাবারিয়া এবং কেসি বেণুগোপাল।
সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে আগাগোড়া চুপ করেই বসেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু, তাঁর বক্তব্যের সময় এলে রাহুল গান্ধী পরাজয়ের পিছনে দুটি বড় কারণ তুলে ধরেন। প্রথমত, তাঁর মতে, ভোটযন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনের কারচুপি। তিনি ভোটগণনা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দাবি করেন। কিন্তু, এরপরেই রাহুল ফেটে পড়েন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় বিষয়টি প্রসঙ্গে রাহুলের অভিযোগ, রাজ্য নেতাদের জন্যই দলের হার হয়েছে হরিয়ানায়।
তাঁর কথায়, ঘর নাকি নিস্তব্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে আমরা জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু, স্থানীয় নেতাদের জন্যই তা হয়নি। কারণ, স্থানীয় নেতারা নিজেদের তবিলদারি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, সামগ্রিকভাবে দলের কথা ভাবেননি। তাঁদের কীভাবে উন্নতি হবে, জিতলে কে কোন পদ পাবেন তা নিয়ে তাঁরা মগ্ন ছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাহুল আরও বলেন, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতারা নিজেদের মধ্যেই লাঠালাঠি করতে ব্যস্ত ছিলেন। দলের কথা ভাবেননি। এই কথা বলা শেষ হওয়া মাত্রই রাহুল উঠে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে চলে যান।
কংগ্রেসের অন্দরের খবর, রাহুলের এই অভিযোগের তির কেবলমাত্র হুডাদের নিয়ে ছিল না। তবে হরিয়ানার পরাজয়ের কারণ উদ্ধারে কংগ্রেস একটি কমিটি গঠন করেছে। একথাও ঠিক অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কংগ্রেস কেবলমাত্র হরিয়ানাতেই হেরেছে তা নয়, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় এবং রাজস্থানেও অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল ভোগ করতে হয়েছে। এরপর সামনে রয়েছে মহারাষ্ট্রের ভোট। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রয়েছেন শারদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরে। সকলেই কংগ্রেসকে অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেসের এই লাঠালাঠির কারণে আখেরে মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের ক্ষতি হবে। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে যে, রাহুল গান্ধীর এই হুঁশিয়ারি কি আদপে কাজে লাগবে মারাঠা নেতৃত্বের মধ্যে।