শেষ আপডেট: 4th February 2025 15:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এ যেন একেবারে জিরো থেকে হিরো হওয়ার গল্প। একসময় নুন আনতে পান্তা ফুরনো নিত্যসঙ্গী হলেও এখন শূন্য থেকে পাঁচ কোটি টাকার মালিক তিনি। না, রাতারাতি এমন চমকপ্রদ কিছু ঘটে নি। মেলেনি লটারির টিকিট বা পৈতৃক সম্পত্তিও। মাত্র ১১ বছর একটু মেপে পা ফেলতেই ঘটেছে মিরাকেল। গুরগাঁওয়ের এক ব্যক্তি সম্প্রতি তাঁর আয়ের পরিমাণ সামনে এনেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরজোত আলুওয়ালিয়া নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, কীভাবে ১০ বছরেরও বেশি সময়ে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ শূন্য থেকে ৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। সোমবার নিজের সাফল্যের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিনি জানান, '২০২৪ সালে আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে আমি গর্বিত। বর্তমানে আমার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকা।'
Hitting this milestone was my biggest achievement in 2024.
— Gurjot Ahluwalia (@gurjota) February 2, 2025
A salaried middle class person like me went from 0 to ₹5,00,00,000 in 11 years.
3 Key Elements
1. Professional Growth - high income
2. Aggressive savings - delay gratification
3. Equity investing - owning businesses pic.twitter.com/t3niPluPW7
IND Money অ্যাপের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এমন সাফল্যের পিছনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্ৰাধিকার দিয়েছেন।
প্রথমত: তিনি কাজের উপর মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেন। টাকা রোজগার তাঁর প্রধান লক্ষ্য ছিল।
দ্বিতীয়ত: নিজের বাহ্যিক, মনোরঞ্জনের খরচ কমিয়ে টাকা জমাতে শুরু করেন
তৃতীয়ত: ইকুইটি বিনিয়োগ এবং ব্যবসার মালিকানা নেওয়ার পর ১১ বছরে তার মোট সম্পদ ৫ কোটি টাকা হয়েছে।
গুরজোত তাঁর পোস্টে পরিষ্কার লেখেন, "আমার মতো একজন বেতন পাওয়া মধ্যবিত্ত ব্যক্তি ১১ বছরে ০ থেকে ৫,০০,০০,০০০ টাকায় পৌঁছেছেন।” তিনি স্বীকার করেন আরও দু'টি জিনিস তাঁকে এই সাফল্যে পৌঁছতে সাহায্য করেছে। তার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে শিক্ষার খরচ, যা তাঁর বাবা-মা বহন করেছেন। অপরটি হল, বাবা-মায়ের সাথে একই বাড়িতে থাকার কারণে তাঁকে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়নি।
তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ৫ কোটি টাকা মোট সম্পত্তির আনুমানিক হিসাবে তাঁর মালিকানাধীন সম্পত্তি এবং গয়নার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। এই সঞ্চয় মূলত ইক্যুইটি, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, এনপিএস, ইপিএফ ও সেভিংসের ফল।
পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে চর্চা। অনেকেই গুরগাঁওয়ের এই ব্যক্তির মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া সম্পত্তির পরিমাণ এবং তা অর্জন করতে কঠিন পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন। একজন লেখেন, 'ধারাবাহিকতা এবং ধৈর্যের এক অসাধারণ উদাহরণ। যদিও অনেকেই স্টক পিকগুলি পুনরাবৃত্তি করতে পারে না, কিন্তু ধৈর্য ধরতে শিখলে সবকিছুই সম্ভব।'
আরেকজন লেখেন, 'অভিনন্দন! আশা করি ২০৩০ সালের মধ্যে আমিও এমনটা অর্জন করতে পারব। মুম্বইয়ের মতো শহরে ১৫-২০ বছর ধরে ভাড়া দিয়ে এত টাকা সঞ্চয় করা বেতন পাওয়া মানুষের জন্য সত্যিই কঠিন।'