শেষ আপডেট: 17th March 2025 12:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুজরাতের (Gujarat) দুর্ঘটনায় (Vadodara Crash) মূল অভিযুক্ত তরুণ রক্ষিত চৌরাসিয়ার দাবি ছিল সে মদ খেয়ে গাড়ি চালায়নি। তবে ভাং খেয়ে ছিল। এদিকে সম্প্রতি এক সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) ভাইরাল হয়েছে যা দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে, রক্ষিতের গাড়ি চালানোর কথাই ছিল না! কিন্তু বন্ধুকে গাড়ি চালাতে না দিয়ে সে জোর করে গাড়িতে ওঠে। তারপর কিছুদূর যাওয়ার পরই ঘটায় মারাত্মক ঘটনা।
দুর্ঘটনার দিন রক্ষিতের সঙ্গে গাড়িতে ছিল তাঁর বন্ধু প্রান্সু। কিন্তু শুরু থেকে দুজন একসঙ্গে ছিল না। যে সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনার দিন, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বন্ধু সুরেশের সঙ্গে স্কুটি করে তাঁর বাড়িতে এসেছিল রক্ষিত। বাড়ির সামনেই এক জায়গায় সেটি পার্ক করে ওপরে চলে যায় তাঁরা। এই সময়ে রক্ষিতের হাতে একটি বোতল ছিল, যা দেখে বোঝা যাচ্ছে না যে কীসের বোতল।
তাঁদের আসার কিছুক্ষণ পরই সেখানে নিজের গাড়ি নিয়ে আসে প্রান্সু। সেও ওপরে চলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে রক্ষিতের সঙ্গে সে নীচে নেমে আসে। তারপর দুজনে গাড়িতে উঠে পড়ে। ড্রাইভিং সিটে তখন বসেছিল প্রান্সু। কিন্তু রক্ষিত তাঁকে কিছু বলে এবং সে সঙ্গে সঙ্গে পাশের সিটে চলে আসে। গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যায় রক্ষিত। তারপরের ঘটনা সকলের জানা।
आज गाड़ी तेरा भाई चलायेगा । https://t.co/aQd74Kna4w#vadodaraaccident के मुख्य आरोपी #rakshitchaursia और #pranshuchauhan का CCTV #video #viral @NationPlusNews_ @Vadcitypolice @VadodaraTraffic @sanghaviharsh @Bhupendrapbjp @dgpgujarat @Vadcitypolice pic.twitter.com/bZPc5L05qs
— Vashishth Shukla (@Vashishth74) March 16, 2025
ওই তরুণের গাড়ির ধাক্কায় স্কুটিচালক এক মহিলার মৃত্যু হয় এবং একাধিকজন গুরুতর আহত হন। গ্রেফতারির পর রক্ষিত দাবি করেছিল, মদ খায়নি সে। স্কুটির সঙ্গে তাঁর গাড়ির অল্প ছোঁয়া লাগতেই এয়ারব্যাগ খুলে যায়। তারপর সে কিছুই দেখতে পায়নি। এও বলেছিল, এদিকে রাস্তায় গর্ত ছিল এবং পাশে অন্য একটি স্কুটি আর গাড়ি পার্ক করা ছিল। সেই সময়ই চলন্ত স্কুটিতে অল্প ছোঁয়া লাগে তাঁদের গাড়ির। তারপরই এয়ারব্যাগ খুলে যায়। কিন্তু ঘটনার পরেই যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গেছে, রক্ষিতের বন্ধু প্রান্সুই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।
হেমালিবেন প্যাটেল নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন দুই শিশুসহ আরও ৪-৫ জন। রক্ষিত পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চায় এবং যা সাহায্য লাগে সে করতে প্রস্তুত। কারণ যেভাবেই হোক, রক্ষিত স্বীকার করেছে তাঁর জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই এর জন্য যে শাস্তি তাঁকে দেওয়া হবে তা মেনে নিতে প্রস্তুত সে।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত এক যুবক সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছে, গাড়ির চালককে দেখে মদ্যপই মনে হয়েছিল এবং সে জোরে গাড়ি চালানো উপভোগ করছিল। তাই এই ঘটনায় কড়া শাস্তিরই দাবি করেছে ওই যুবক। তাঁর কথায়, শুধু ফাইন নিয়ে ছেড়ে দেওয়া বা কোনও লঘু শাস্তি দিলে কাজ হবে না। যা ঘটেছে তা ভয়ঙ্কর।
দুর্ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ধাক্কা দেওয়ার পর গাড়ি থেকে বেরিয়ে চিৎকার করতে শুরু করেছিল রক্ষিত। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আরও এক রাউন্ড হয়ে যাক!' তারপর 'ওম নমঃ শিবায়' বলেও চিৎকার করতে থাকে।