শেষ আপডেট: 29th December 2023 16:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সমুদ্র গর্ভে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানের স্মৃতি এখনও টাটকা। তবে সেই ভয় নেই এই ডুবোযানের। পর্যটকদের জন্য নতুন বছরেই সাবমেরিন ট্যুরিজম চালু করছে গুজরাত সরকার। ডুবোযানে চেপে যাওয়া যাবে সমুদ্রের অতল জলরাশির গভীরে। ভাগ্য থাকলে শ্রীকৃষ্ণের হারিয়ে যাওয়া দ্বারকা নগরীর খোঁজও মিলতে পারে।
গুজরাতের জামনগর জেলায় গোমতী নদীর তীরে দ্বারকা শহরটি বিখ্যাত শ্রীকৃষ্ণের প্রাচীনতম দ্বারকাধীশ মন্দিরের জন্য। দ্বারকাধীশের প্রধান মন্দির প্রায় ২৫০০ বছর পুরনো। পুরাণ অনুসারে, কৃষ্ণের বৈকুণ্ঠ প্রস্থানের পর পরই সমগ্র দ্বারকা নগরী জলে তলিয়ে যায়। শুধু দ্বারকাধীশ মন্দিরের এই অংশ ও ভেট দ্বারকা সুরক্ষিত থাকে। সম্প্রতি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ দাবি করেছে, জলের তলায় হাজার হাজার বছরের পুরনো এমন এক নগরীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে যা শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা নগরীর তলিয়ে যাওয়া অংশ বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সম্প্রতি সমুদ্রের গাল্ফ অফ খামবাট থেকে সাত মাইল দূরে দুই নগরীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে যার আয়তন পাঁচ বর্গমাইল। মনে করা হচ্ছে এই নগরীই হারিয়ে যাওয়া দ্বারকার একটি অংশ। এই ধ্বংসাবশেষ দেখাতেই সমুদ্রের গভীরে সাবমেরিন নামাতে চলেছে সরকার।
রাজ্য পর্যটন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হরিত শুক্লা জানিয়েছেন, এই দেশীয় সাবমেরিনটি শুধুমাত্র মাজগাঁও ডক থেকেই জলে নামবে। আগামী বছর দীপাবলির আগেই চালু হয়ে যাবে পরিষেবা। জানা গেছে, জন্মাষ্টমীর সময় থেকে চালু হতে পারে পরিষেবা।
সাবমেরিনটির ওজন ৩৫ টন। এতে একসঙ্গে ২৪ জন বসতে পারবেন। দু’জন ডুবুরি এবং একজন গাইড থাকবেন। অভিজ্ঞ পাইলট সেটি চালাবেন। থাকবেন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান। সমুদ্রের গভীরে ৩০০ মিটার অবধি যাবে সেটি।
প্রতিটি সিটের পাশেই থাকবে জানলা। ফাইবার গ্লাসের জানলা দিয়ে গভীর সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যাবে।
অপারেটিং এজেন্সি যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক, ফেস মাস্ক এবং স্কুবা ড্রেস সরবরাহ করবে। উন্নত প্রযুক্তির এই সাবমেরিনে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মতো সুবিধাও থাকবে।