পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ মে অফিস থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন সুরাটের বাসিন্দা চন্দ্রভান দুবে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 17 May 2025 13:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অফিস থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন গুজরাতের ব্যবসায়ী (Gujarat Businessman Murder)। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তদন্ত শুরু হতেই সামনে আসে নৃশংস খুনের ঘটনা। দুটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ ব্যক্তির দেহের টুকরো। গ্রেফতার করা হয়েছে এক সহকর্মীকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ মে অফিস থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন সুরাটের বাসিন্দা চন্দ্রভান দুবে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এদিকে, সুরাটের একটি নদীর ধারে দুটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগ দুটি থেকে ব্যক্তির দেহাংশ উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, মৃতদেহটি নিখোঁজ ব্যবসায়ী চন্দ্রভান দুবের।
যাবতীয় তথ্য ও ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক সহকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত রশিদ আনসারি ওই ব্যবসায়ীকে টাকার জন্য অপহরণ করেছিলেন। ১ কোটি টাকার মুক্তিপণের জন্য তাঁকে খুন করে।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, এক কোটি টাকা মুক্তিপণ (Ransom) চেয়ে রশিদ চন্দ্রভানের পরিবারকে শুক্রবার পর্যন্ত ফোন করেছিলেন। জেরায় জানা যায়, অভিযুক্ত সোমবার চন্দ্রভান দুবেকে অপহরণ করে নিজের বাড়িতেই নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে খুন করেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে নদীর পাড়ে ফেলে দেয়।
পুলিশের তরফে আরও জানা গিয়েছে, 'দুবে সিকিউরিটি এজেন্সি' নামে একটি সংস্থার মালিক ছিলেন চন্দ্রভান দুবে। দেড় বছর আগেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০০ জন কর্মী নিয়োগ করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যেই একজন আনসারি। কয়েক মাসেই চন্দ্রভানের বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছিলেন তিনি। তাই বিভিন্ন জায়গায় আনসারিকে সঙ্গে নিয়েই যেতেন ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ তল্লাশি শুরু করলে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আনসারিও। তবে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হওয়ার পরই হঠাৎ উধাও হন তিনি। এরপরই সন্দেহ হয় পুলিশের। অবশেষে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার দিন ওই অফিসের বাইরে রশিদ আনসারির সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ব্যবসায়ী খুনে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি জড়িত কিনা তাও জানতে চায় তদন্তকারীরা।