শেষ আপডেট: 28th August 2024 20:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লাগাতার বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা গুজরাতের সাধারণ মানুষের। বন্যা পরিস্থিতি আগেই তৈরি হয়েছিল, এখন তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভদোদরা সহ একাধিক শহরের বহু এলাকা এবং গ্রাম গত কয়েকদিন ধরে জলের তলায় রয়েছে। গত ৩ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও সরকারি সূত্রে খবর। দাবি করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতি রাজ্যের মানুষ বিগত ২০ বছরে দেখেননি।
বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন হওয়ায় সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য। বহু এলাকা থেকে অনেকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে ঠিকই তবে আরও অনেক বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ কোনও কোনও এলাকা ১০-১২ ফুট জলের তলায় চলে গেছে! গান্ধীনগর রিলিফ কমিশনার অলোক পাণ্ডে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে সেই কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
ভদোদোরার অধিকাংশ বাসিন্দারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, তাঁদের বাড়ি-ঘর থেকে জল নামছেই না। প্রশাসনকে জানানো হলেও তাঁদের তরফে কেউ সাহায্য করতে আসেনি। এদিকে তাঁরা কেউই বাড়ির বাইরে বেরতে পারছেন না। জল জমে থাকার ফলে অসুস্থতার আশঙ্কা বাড়ছে, পাশাপাশি খাবারের সমস্যা হচ্ছে। কারণ খাবার ফুরিয়ে আসছে ধীরে ধীরে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রক বন্যার জল নর্মদা খালে ফেলবে না বিশ্বমিত্রি নদীতে, সেটাই এখনও ভেবে উঠতে পারেনি। তাই সমস্যা আরও গভীর হচ্ছে বলে মত অনেকের।
গুজরাতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক অবশ্য এও জানিয়েছে, বিশ্বমিত্রি নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে চলে গেছে এখনই। তাই সেখানে নতুন করে জল ছাড়া মানে আরও বেশি বিপদ ডেকে আনা। তাই নর্মদা খালেই জল ফেলা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। জুন মাসের মাঝামাঝি গুজরাতে বর্ষা ঢুকেছে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত দুর্যোগ জারি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক আধিকারিকের কথায়, প্রতিদিনই কোনও না কোনও প্রান্ত থেকে মৃত্যুর খবর আসছে। কেউ জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মারা যাচ্ছেন, কেউ বজ্রাঘাতের কারণে, আবার কেউ বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার আশায় সকলেই।