শেষ আপডেট: 7th December 2024 17:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টলিউডের 'জানলা দিয়ে বউ পালাল' বা হলিউডের 'রান্যাওয়ে ব্রাইড'। ১৯৯৯ সালে জুলিয়া রবার্টস ও রিচার্ড গেরে অভিনীত ছবির গল্প ফুটে উঠে ফুটল পাঞ্জাবে। দুবাই থেকে বর এল, কিন্তু ইনস্টাগ্রামের প্রণয়ী-কনে বিয়ের দিন পগারপার। এমনই বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে জলন্ধরের মান্ডিয়ালি গ্রামে।
দীপক নামে ২৪ বছরের ওই যুবক দুবাই থেকে পাঞ্জাবের গ্রামে ফিরেছেন মাসখানেক আগে। বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতেই গ্রামে ফিরেছিলেন দুবাইতে শ্রমিকের কাজ করা দীপক। শুক্রবার বিয়ে করতে যাওয়ার জন্য দীপক উজ্জ্বল রঙের লাল পাগড়ি মাথায় বেঁধে বরযাত্রী নিয়ে রওনা দেন মোগা-র উদ্দেশে। সঙ্গে জমজমাট বরযাত্রী। কনে নিজে আবদার রেখেছিলেন হবু বরের কাছে, অন্তত শ'দেড়েক বরযাত্রী বা বরাতি যেন আসে।
সেই মতো বিশাল বরযাত্রীর বহর নিয়ে একটি সাদা রঙের দামি গাড়ি ফুলে সাজিয়ে বিয়ে করতে রওনা দেন পাত্রপক্ষ। মান্ডিয়ালি থেকে হেঁটে বেরিয়ে গ্রামের লোককে দেখিয়ে বরযাত্রী আনন্দে নাচতে নাচতে যাত্রা শুরু করে। শুধু বরের গাড়িই নয়, বরযাত্রীদেরও অনেকে গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, মনপ্রিত কৌর নামে ওই যুবতীর সঙ্গে দীপকের পরিচয় হয়েছিল ইনস্টাগ্রামে। প্রায় তিন বছর ধরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক চলার পর বিয়ে করার কথা স্থির করেন দুজনে। এবং ফোনের মাধ্যমে ছেলে ও মেয়ের বাড়ির কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়।
পাত্র ও কনেপক্ষের সম্মতিতে ৬ ডিসেম্বর বিয়ে স্থির হয়। সেইমতো দুপুরে ১৫০-র বেশি বরযাত্রী নিয়ে দীপক রওনা দেন মোগার উদ্দেশে। কিন্তু, সেখানে গিয়ে দেখেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত কনে ততক্ষণে হাওয়া। বাড়ির লোকও কেউ ধারেকাছে নেই। ফোন করেন মনপ্রিতকে। ফোনে মনপ্রিত বলেন, অপেক্ষা করতে, এখনই তাঁর বাড়ির লোক বর ও বরযাত্রীদের অভ্যর্থনায় পৌঁছে যাবে।
সেকেন্ড যায়, মিনিট যায়, ঘণ্টা যায়। কিন্তু মনপ্রিতের ফোন ততক্ষণে বন্ধ। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দীপকরা অপেক্ষা করার পর সন্ধেয় পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশকে দীপক জানিয়েছেন, তিনি দুবাইকে কাজ করেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁদের পরিচয় হয়। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনেই দুজনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মনপ্রিত তাঁর কাছে বলেছিলেন যে, তিনি একজন আইনজীবী ও ফিরোজপুরে ভালো মাইনের কাজ করেন। কিন্তু, মুখোমুখি তাঁদের কোনওদিন দেখা হয়নি। দুজন দুজনের ছবি দেখেই মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েছিলেন। তাঁদের বিয়ের আসর বসার কথা ছিল মোগার রোজ গার্ডেন প্যালেস নামের একটি বিয়েবাড়িতে। কিন্ত, সেখানে এসে দীপকরা জানতে পারেন, ওই নামে কোনও বিয়েবাড়িই নেই।