শেষ আপডেট: 11th December 2023 10:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবীন পটটনায়েক, হেমন্ত সরেনরা ছিলেন না। শুধুই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উপস্থিতিতে ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল ফোরামের বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
আয়োজক রাজ্য হিসেবে রবিবারের অনুষ্ঠানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি একরকার বাধ্যতামূলক ছিল। তারপরও নীতীশের উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের কারণ হয়েছে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর এই প্রথম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নীতিশ এক মঞ্চে উপস্থিত থাকায়।
আমন্ত্রণ পেলেও পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীরা অন্য কাজ থাকায় যাননি। এর আগে কলকাতা ও ভুবনেশ্বরের বৈঠকে যাননি নীতীশও।
বাকি তিন মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে পাটনার অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমার বিহারের হয়ে লম্বা ইনিংস খেলেন। বিহারের বিশেষ মর্যাদার দাবি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে। বলেন কাস্ট সেন্সাস এবং ওবিসি সংরক্ষণের কথা।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার দাবি জানাতে গিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি টানেনি অমিত শাহের সামনে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ধারাবাহিক বঞ্চনার কথা ছিল না ভাষণে।
আরও লক্ষণীয়, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নীতীশের সব ক'টি দাবিই বিবেচনার আশ্বাস দেন। এমনও বলেন, বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার কাস্ট সেন্সাসের বিরোধী নয়। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ধরে শাহ বলেন, নীতীশবাবু আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে, আপনি যখন আমাদের সঙ্গে ছিলেন তখন কাস্ট সেন্সাসে
সায় দিয়েছিল বিজেপি।
নীতীশ ও অমিত শাহের অভিন্ন সুর রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনার জন্ম দিয়েছে। নীতীশের দলবদলের সম্ভাবনা সর্বদাই বিহারের রাজনীতিতে জল্পনা বজায় রাখে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা আছে, ইন্ডিয়া জোটকে দুর্বল করতে অতীত ভুলে বিজেপি ফের নীতীশকে এনডিএ-তে ফেরাতে আগ্রহী। এই ব্যাপারে সবচেয়ে উৎসাহী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতীশ বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর দেড় বছর পরও মোদী বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে একটি কথাও বলেননি। গত বছর অগাস্টে নীতীশ এনডিএ ছেড়ে লালুপ্রসাদের হাত ধরার পর কিছুদিন অমিত শাহ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানান। তিনিও চুপ করে গিয়ে ছেন মাস ছয় হল। এমন আবহে পাটনার পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক পর্ষদের বৈঠকের আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
নীতীশ সরকার সম্প্রতি রাজ্যে সংরক্ষণের কোটা ৫০ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৫ শতাংশ করেছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র দরকার। নীতীশ এই ব্যাপারেও শাহের সহযোগিতা চান। হাসিমুখে তাতে সায় দেন অমিত।