শেষ আপডেট: 30th January 2025 13:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অপেক্ষার আর দুদিন। তারপরেই সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই অবস্থায় গোটা দেশ তাকিয়ে আছে কীভাবে হেঁসেলে স্বস্তি জুটবে এবং চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি ঘটবে। বিশেষত দেশের মহিলা কর্মশক্তিতে জোয়ার আনবেন নির্মলা। ২০৩২ সালের মধ্যে দেশকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে তুলে ধরতে নারীশক্তির কাজের সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়া তা কোনওমতেই সম্ভব নয় বলে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মত।
কারণ এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১০টি শীর্ষ অর্থনীতির দেশের মধ্যে ভারতের শ্রমক্ষেত্রে মহিলা অংশীদারিত্ব সর্বনিম্ন। এবং তার জন্য বার্ষিক হিসাবে ভারতের কয়েক বিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়ে চলেছে। এই অবস্থায় নির্মলা সীতারামন যখন তৃতীয় মোদী সরকারের দ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তখন সকলের চোখ রয়েছে কীভাবে তিনি দেশের নারী শ্রমশক্তিকে পূর্ণাঙ্গ এক রূপ দিতে পারেন সেদিকে।
দেশ বর্তমানে বেকারি সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস যে সরকারকে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে নতুন নতুন নীতি গ্রহণের মাধ্যমে চাকরি সৃষ্টি করা যায়। বিশেষত মহিলা ও যুব সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে। অর্থনীতিবিদদের মতে, খাদ্য, পোশাক এবং গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণ শিল্পকে উৎসাহ দিতে হবে। এবং এর মাধ্যমে নতুন চাকরি সৃষ্টি করতে হবে। এর সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং বাড়ির ছাদে পরিবেশ বান্ধব সৌরবিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুবশ্রেণিকে তালিমে উৎসাহ দিয়ে কাজের পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া জরুরি। তা হল পরিকাঠামো ক্ষেত্র। যেমন সড়ক, রেলপথ ও বন্দর নির্মাণে বরাদ্দ বাড়াতে হবে সরকারকে। যার ফলে শুধুমাত্র দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হবে তাই নয়, এতে লক্ষ লক্ষ চাকরি ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে। যা আর্থিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সর্বোপরি আসন্ন বাজেটে মহিলাদের জন্য বিশেষ বিশেষ প্রকল্প এবং সুযোগসুবিধা আসতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। যাতে কর্মক্ষেত্র ও শ্রমক্ষেত্রে মহিলাদের অংশীদারিত্ব বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। দিনের সময়ে কাজ এবং সুবিধামতো কাজের পরিবেশ বাছাইয়ের উপর জোর দিতে হবে। যাতে মহিলারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা পেতে পারেন কর্মক্ষেত্রে তার উপর জোর দেওয়া জরুরি।
এ প্রসঙ্গে বলা জরুরি যে, ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে মহিলা ও নাবালিকা কন্যা উন্নয়নে নির্মলা ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। যদিও দেশের জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ মহিলা হলেও গড় জাতীয় উৎপাদনের মাত্র ১৮ শতাংশ ভাগীদারি রয়েছে নারীশক্তির। যা অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় প্রায় কিছুই নয়। একটি সমীক্ষায় প্রকাশ, চাকরি ক্ষেত্রে এই লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে পারলে জিডিপিতে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।