শেষ আপডেট: 11th November 2024 18:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবারই পথ চলা শেষ। তার আগে রবিবার ভিস্তারার বিমানে এক অচেনা পরিবেশ। এদিন গোয়া থেকে বেঙ্গালুরুতে এসে পৌঁছয় একটি বিমান। যাত্রীরা যখন নামার তোড়জোড় শুরু করবেন তখনই কানে ভেসে এল ‘কাল হো না হো’ গান। যা শুনে বিমানের ক্রু মেম্বার থেকে শুরু করে উপস্থিত যাত্রীরা বেশ খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
সোমবার শেষবারের মত আকাশে উড়ছে ভিস্তারার বিমান। ১২ নভেম্ভর থেকে ভিস্তারার যাবতীয় পরিষেবা মিলবে এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে। দু’বছর আগে থেকে ভিস্তারা এবং এয়ার ইন্ডিয়ার ‘গাঁটছড়া’ বাঁধার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি বিমান সংস্থাটির বুকিংও গত সেপ্টেম্বরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার অর্থাৎ ১১ নভেম্বর অবধি ছিল শেষ বুকিং।
সূত্রের খবর ভিস্তারার সমস্ত ফ্লাইট এয়ার ইন্ডিয়ার অধীনে চলে আসছে। দুটি সংস্থার বিমানই পরিচালনা করবে টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়া। সে কারণে আজকের পর আলাদা করে এই সংস্থার আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
এদিকে ভিস্তারার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, "বিমানটি যখন আকাশে ওড়ে, তখন আমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলোও পরিবর্তিত হতে থাকে। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া। তাই আমরা মনে করি আকাশ ছোঁয়ার শেষ নেই, সেখানে শুধুই শুরু।’
তবে দুটি সংস্থা এক হলেও বিভিন্ন মহল থেকে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন পাইলট-সহ বিমানকর্মীরা। জানা গিয়েছে কর্মীদের অবসরের বয়স নিয়েই গণ্ডগোলের শুরু। যেখানে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটরা ৫৮ বছরে অবসর নেন, ভিস্তারার ক্ষেত্রে তা ছিল ৬০ বছর। কিন্তু দুটি সংস্থা এক হয়ে গেলেও কীভাবে সবটা স্বাভাবিক নিয়মে এগোবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে জোট বেঁধে ২০১৪-এ টাটারা বিস্তারা তৈরি করেছিল। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম এই মার্জারের ঘোষণা করা হয়। দুই বড় উড়ান সংস্থা এক হয়ে দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম বড় এয়ারলাইন্স গ্রুপ তৈরির ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, নতুন চুক্তিতে টাটা গ্রুপের অধীনে থাকা এয়ারলাইন্সের ২৫.১ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের হাতে।