শক্তিকান্ত দাস এবং নরেন্দ্র মোদী
শেষ আপডেট: 22nd February 2025 18:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুই মাস! মাত্র এ কদিনই অবসরে ছিলেন শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। ডিসেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) গভর্নর হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছিল, আর ফেব্রুয়ারিতেই নতুন দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন ঘটল তাঁর। এবার তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি-২ (প্রধান সচিব-২) পদে নিযুক্ত হলেন দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা।
শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কথা। এর অর্থ, এবার থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি-১ পি কে মিশ্রর সঙ্গে কাজ করবেন শক্তিকান্ত দাস। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২৫তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শক্তিকান্ত দাস। তারপর লাগাতার ছ’ বছর ধরে সামলেছেন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দায়িত্ব। ২০২১ সালে তাঁর মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হয়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন সংকট, বিশেষত করোনা মহামারির অর্থনৈতিক অভিঘাত সামাল দিতে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
তবে আরবিআই-এর গভর্নর হওয়ার আগে থেকেই তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক নীতির অন্যতম স্থপতি। ১৯৮০ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার শক্তিকান্ত দাস বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকে। একসময় তিনি ছিলেন রাজস্ব সচিব, পরে হন আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত সচিব। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অবসর গ্রহণের পর সরাসরি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।
শক্তিকান্ত দাসের শিক্ষাজীবনও উজ্জ্বল। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। দীর্ঘ চার দশকের প্রশাসনিক ও নীতিনির্ধারণের অভিজ্ঞতা তাঁকে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম চালক করে তুলেছিল। এবার সেই অভিজ্ঞতার প্রয়োগ হবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।
অর্থনীতি থেকে প্রশাসন— দুই ক্ষেত্রেই তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোদীর ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক পরিসরে তাঁকে নেওয়া মানে অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণেও আরও জোরদার ভূমিকা থাকবে তাঁর। বিশেষত, অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ইস্যুতে সরকারের যে নীতি পুনর্বিবেচনা চলছে, সেখানে শক্তিকান্ত দাসের মতো অভিজ্ঞ আমলার উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।