ঘটনার পাঁচ দিন পর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর কফিনবন্দি দেহ, তেরঙা পতাকায় মুড়ে পরিবারের হাতে তুলে দেয় আমদাবাদ সিভিল হাসপাতাল (Ahmedabad Civil Hospital)।
তেরঙা পতাকায় জড়ানো বিজয় রুপানির কফিনবন্দি দেহ
শেষ আপডেট: 16 June 2025 11:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) প্রয়াত হয়েছেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি (Vijay Rupani)। ঘটনার পাঁচ দিন পর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর কফিনবন্দি দেহ, তেরঙা পতাকায় মুড়ে পরিবারের হাতে তুলে দেয় আমদাবাদ সিভিল হাসপাতাল (Ahmedabad Civil Hospital)। রুপানির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর ডিএনএ (DNA) মিলিয়ে দেহ শনাক্ত করা হয়।
এদিন সকালে ১১টা ২০ নাগাদ রুপানিপুত্র রূষভ হাসপাতালের মর্গে পৌঁছন। সরকারি নিয়ম-কানুন মেনে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সাড়ে ১১টার সময় ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাবার দেহ। উপস্থিত ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।
হাসপাতালের বাইরে গার্ড অফ অনারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানায় গুজরাত পুলিশ। এরপর বিজেপি কর্মীরা রুপানির দেহ নিয়ে যান অমদাবাদ বিমানবন্দরে। সেখান থেকে রাজকোটে নিয়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে রামনাথ পারা শ্মশানে রুপানির শেষকৃত্য হওয়ার কথা।
এর আগে রুপানির দেহ তাঁর বাড়িতে রাখা হয়েছিল এক ঘণ্টার জন্য যাতে সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও দলীয় কর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আমদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান। উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি আছড়ে পড়ে বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর। যেটি বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে। দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রী ও বিমানকর্মীর মধ্যে একমাত্র একজনই বেঁচে ফেরেন। যিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার আমদাবাদে বিজয় রুপানির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। রুপানির ছেলে রূষভ বলেন, “এটা কেবল আমাদের পরিবারের জন্য নয়, ২৭০টি পরিবারের জন্যই গভীর শোকের সময়। উদ্ধারকার্যে পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, সিভিল ডিফেন্স, দমকল ও আরএসএস কর্মীদের ভূমিকাকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।” গুজরাত সরকার এই ভয়াবহ ঘটনার পর ১৬ জুন একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে।
রাজ্য রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় বিজয়য় রুপানি ছিলেন এক স্থিতধী নেতৃত্বের নাম। ২০১৬ সালে আনন্দীবেন প্যাটেলের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। পাটিদার আন্দোলন, কংগ্রেসের উত্থান— সমস্তরকম চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জয় এনে দেন তিনি।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৬৪ জন নিহতের দেহ তাঁদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। সিভিল হাসপাতালের ক্যাম্পাসের পোস্টমর্টেম রুমে পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া এবং সম্মানের সঙ্গে কফিনবন্দি দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।