শেষ আপডেট: 6 May 2025 11:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের (war against Pakistan) আবহে আগামীকাল বুধবার দেশব্যাপী নাগরিক মহড়ার (civil drill) আয়োজন করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যুদ্ধকালীন (during war) পরিস্থিতিতে নাগরিক ও সাধারণ প্রশাসনের ভূমিকা কেমন হওয়া দরকার?
ভারতীয় বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অরূপ রাহা (Ex Chief Of Indian Air Force Arup Raha) ‘দ্য ওয়াল’ (The Wall)-কে জানালেন, বিমান হানা (air strike) শুরু হলে নাগরিক ও সাধারণ প্রশাসনের (responsibility of civil administration and citizens) ভূমিকা কেমন হওয়া দরকার। তাঁর কথায়, যুদ্ধ শুরু হলে সেনা বাহিনী অবশ্যই সামনের সারিতে থাকবে। কিন্তু তাদের পিছনে তাকানোর অবকাশ থাকে না। পিছনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব সাধারণ প্রশাসন এবং নাগরিকদের।
রাহার কথায়, পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষকেও জানতে হবে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নিজেদের কীভাবে রক্ষা করতে হয়।
পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের (Pahelgam killing) পর পরই বিমান বাহিনীর এই সাবেক প্রধান এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানকে ফের কড়া জবাব দেওয়া দরকার বলে প্রতিক্রিয়া দেন। উরি (Uri) ও পুলওয়ামায় (Pulwama) পাকিস্তানি জঙ্গিদের হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা দু’বার সে দেশের ভূখণ্ডে সার্জিক্যাল স্টাইক করেছে। রাহার কথায়, বারে বারে পরাজয়ের পরও পাকিস্তানি সেনা শিক্ষা নেয়নি। ১৯৭১-এর যুদ্ধে তাদের ৯৩ হাজার সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল।
বিমান বাহিনীর প্রধানের পদ থেকে রাহা অবসর নেন ২০১৬-র ৩১ ডিসেম্বর। তার চার মাস আগে উরির হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। সেই অভিযানে রাহার নেতৃত্বাধীন বিমান বাহিনী আকাশ থেকে পদাতিক বাহিনীর সুরক্ষা নিশ্চিত করেছিল। ২০১৪-র জুলাই থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বিমান বাহিনীর প্রধান থাকাকালে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফস অফ স্টাফ কমিটির ৫৪ তম চেয়ারম্যান ছিলেন রাহা।
পাকিস্তান ও চিনের বিরুদ্ধে ভারতের অতীতের যুদ্ধগুলির উল্লেখ করে বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান বলেন, আমাদের নাগরিকদের মোটের উপর একটা ধারণা আছে। সাইরেন বেজে উঠলে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়, এটা কম-বেশি মানুষ জানেন। রাহা মনে করেন, সব স্তরেই প্রশিক্ষণ খুব জরুরি।