শেষ আপডেট: 11th January 2025 23:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে দিল্লির হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এজন্য আদালতেও ভর্ৎসিত হয়েছিলেন। অতীতে কেজরিওয়ালের দলের সেই প্রাক্তন বিধায়ক কপিল মিশ্রকে এবারে কারাওয়াল নগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করল পদ্মশিবির।
বস্তুত, হাতে আর একমাসও সময় নেই। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার ভোট। ইতিমধ্যে ৭০টি আসন বিশিষ্ট দিল্লির বিধানসভার সবকটি আসনেই প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কেজরিওয়ালের আমআদমি পার্টি। কংগ্রেসের তরফে ৪৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার বিজেপির তরফে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ২৯ জনের মধ্যে নাম রয়েছে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মদনলাল খুরানার পুত্র হরিশ খুরানারাও।
পদ্মশিবিরের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে পাঁচজন মহিলা প্রার্থীরও। তবে সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে কপিল মিশ্রর নাম। কারণ, কপিল অতীতে ২০১৭ থেকে ২০২৭ সাল আমআদমি পার্টিতে ছিলেন।
২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে লাগাতার সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী ২০২০ সালে সিএএ (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন) সংক্রান্ত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণের অভিযোগও উঠেছিল কপিলের বিরুদ্ধে।
তবে কপিল একা নন, বিজেপির প্রকাশিত প্রথম প্রার্থী তালিকাতেও এমন দুজনের নাম রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধেও অতীতে একাধিকবার হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরা হলেন-দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি প্রবেশ বর্মা এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। প্রার্থী পদে নাম ঘোষণা হওয়ার পরই ইতিমধ্যে কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশীকে কুমন্তব্য করার অভিযোগও উঠেছে বিধুরির বিরুদ্ধে।
৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা। গতবারের ভোটে পরাজিত কপিল এবারে জিততে পারেন কিনা, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।