ছবি সৌজন্যে- পিআইবি
শেষ আপডেট: 7 May 2025 11:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোথাও দেওয়া হত প্রশিক্ষণ, কোনওটা লঞ্চপ্যাড, কোনওটা আবার অনুপ্রবেশের পথ। মঙ্গলবার মাঝরাতে পর পর গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পাকিস্তানের নয় জঙ্গি ঘাঁটি। ঘরে ঢুকে পহেলগাম হামলার যোগ্য জবাব দিলেন দেশের বীর সন্তানরা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ভারত যে জিরো টলারেন্স মেনে চলে, তা প্রমাণ হল ফের। এই ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর সাংবাদিক বৈঠক করলেন দেশের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। জানিয়ে দিলেন, পহেলগাম হামলার ঘটনায় যুক্ত 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' সম্পর্কে তথ্য ছিল তাঁদের কাছে। বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল ইউএন কাউন্সিলের বৈঠকে। এই ধরনের ছোট ছোট জঙ্গি সংগঠন দিয়েই সীমান্তে ও এদেশে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করায় লস্কর বা জইশের মতো গোষ্ঠীগুলি। এবার তাদের যোগ্য জবাবের পালা।
৩৭০ ধারা বিলোপের পর হাসছিল কাশ্মীর। দিন দিন বাড়ছিল উপত্যকায় পর্যটকের সংখ্যা। মুখে হাসি ফুটছিল পর্যটন ব্যবস্থার। কাশ্মীরবাসীদের ফের অন্ধকারে ঠেলে দিতেই এই ধরনের বর্বরোচিত হামলা বলে উল্লেখ করেন বিদেশ সচিব। তিনি মনে করেন, পহেলগামে এমন আক্রমণ পর্যটনকে মুখ থুবড়ে ফেলে দেওয়ার কৌশল। কিন্তু এমন হামলা দেশ মুখ বুজে সহ্য করবেন না, তা ২২ এপ্রিলের পর থেকে বার বার বলেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
তারপরই গতরাতে একে একে বিলাল, কোটলি, গুলপুর, বার্নালা ক্যাম্প, আব্বাস ক্যাম্প, সার্জাল ক্যাম্প- শিয়ালকোট, মেহমুনা ক্যাম্প- শিয়ালকোট, মার্কাজ তইবা মুরিদকে ও ভাওয়ালপুর- জইশ-ই মহম্মদের মূল কার্যালয় দুরমুশ করে দেওয়া হয়। এনিয়ে বিদেশ সচিব বলেন, 'মুম্বই হামলার পর সবচেয়ে বড় ঘটনা পহেলগাম। হামলার কথা লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট স্বীকার করার পরও পাকিস্তান দায় স্বীকার করেনি। উল্টে পাল্টা অভিযোগ করেছে। কোনও পদক্ষেপ করেনি জঙ্গি দমনে। এই পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ করেছে ভারত।'
ইনটেলিজেন্সের তরফে ঘটনার সম্পূর্ণ ছবি স্পষ্ট করা হয়েছিল হামলার পর সেকথা জানান তিনি। রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নিয়ে দেন তথ্য। জানা যায়, এই ছোট জঙ্গি সংগঠন সম্পর্কে খবর ছিল ভারতের ইন্টেলিজেন্সের কাছে। এনিয়ে রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে দিল্লির তরফে। ডিসেম্বর ২০২৩-এ টিআরএফ নিয়ে সচেতন করেছিল ভারত, জানানো হয়েছিল, এটা ছোট জঙ্গি গোষ্ঠী, এদের দিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে লস্কর ও জইশের মতো বড় সংগঠন। ইউএস সিকিওরিটি কাউন্সিল এটা নিয়ে আলোচনাও করেছিল। তারপরই এমন ঘটনা।
বিদেশ সচিবের বক্তব্য, এখন এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল। বিশ্বজুড়ে তারা এই ধরনের জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে আসছে বহুদিন ধরে। এনিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই।