নিজস্ব ছবি
শেষ আপডেট: 1st February 2025 16:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট এক বিপর্যয় এবং গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়, জানিয়ে দিলেন অমিত মিত্র। শুধু তিনি নন, অনেক অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কেন্দ্রীয় বাজেটকে এভাবেই বর্ণনা করেছেন বলে জানান তিনি।
রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার প্রশ্ন, "এই বাজেট কী করল? সামাজিক পরিষেবায় ১৬ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। আবাসনে কমানো হয়েছে ৪.৩৮ শতাংশ। সমাজ কল্যাণ এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষরা বিশ্বাস করুন বা না করুন, ৩ শতাংশেরও বেশি কাট অফ করা হয়েছে। তারপর সমাজ কল্যাণ এবং ৫ শতাংশ কমানোর কথা বলা হয়েছে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্য ভর্তুকি ১ শতাংশ কমানো। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার যুব, মহিলা এবং কৃষকদের জন্য কিছুই নেই।"
তাঁর কথায়, দেশে বেকারত্বের হার প্রবল। সমীক্ষা বলছে এর মধ্যে ৩০ শতাংশ যুব স্নাতক। প্রশ্ন হল, অক্টোবর এবং ডিসেম্বরে যেখানে বেকারত্ব ছিল ৩ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি সেখানে তাঁদের জন্য কিছুই ঘোষণা করা হল না কেন?
শুধু তাই নয়, তিনি একথাও বলেন, বীমা খাতে যেখানে ১০০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ অনুমোদিত। সেখানে ভারতীয় বেসরকারি খাতের কোম্পানি-সহ অন্যান্য বীমা কোম্পানিগুলি এখন তাদের ১০০ শতাংশ ইকুইটি নিয়ে আসছে। রাজ্য জীবন বীমা-সহ অন্যান্য বীমার উপর জিএসটি নেয়। এটা ঠিক নয় বলেই বাংলা ১৮ শতাংশ পরিষেবা কর থেকে কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ সরকার মনে করেছিল এই করের কারণে অনেক মানুষই আছেন যাঁদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দেয়নি বরং স্থগিত করে দেয়।
অমিত মিত্রের প্রশ্ন "এখানে কি কোনও রকম অভিসন্ধি রয়েছে কেন্দ্রের? কারা এর থেকে লাভবান হবেন সেই বিচার মানুষই করুক।"
বস্তুত, শনিবার অর্থমন্ত্রী হিসাবে সংসদে অষ্টম বার বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারামন। নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল তাঁর সরকার। গত বছর তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তার পর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সংসদে বাজেট পেশ করলেন নির্মলা।