শেষ আপডেট: 20th January 2025 16:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বদলাপুরের যৌন হেনস্থায় মূল অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে খুনের ঘটনায় আগেই পুলিশের ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বম্বে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেই তদন্তেও উঠে এল একই তথ্য। হেফাজতে অক্ষয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ পুলিশ কর্মীকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
সোমবার মুখ বন্ধ খামে তদন্ত রিপোর্ট বম্বে হাইকোর্টে জমা দেন ম্যাজিস্ট্রেট। যদিও পুলিশ তাঁর ছেলেকে এনকাউন্টারে মেরেছে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন অক্ষয় শিন্ডের বাবা আন্না শিন্ডে। এরপরই বম্বে হাইকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দেন।
পাঁচ পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন থানে ক্রাইম ব্রাঞ্চের সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় শিন্ডে, হেড কনস্টেবল অভিজিৎ মোরে এবং হরিশ তাওয়াদে, অতিরিক্ত পুলিশ ইনস্পেক্টর নীলেশ মোরে ও এক পুলিশ ড্রাইভার।
এদিন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে ও নীলা গোখেলের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালত জানায়, সরকার তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পুলিশের বিরদ্ধে মামলা দায়ের করতে বাধ্য এবং কোন তদন্তকারী সংস্থা মামলাটির তদন্ত করবে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, অক্ষয়ের মৃত্যুর জন্য ওই পাঁচ পুলিশ কর্মীই দায়ী। এদিন সরকারের আইনজীবীকে আদালত নির্দেশ দেয়, যত দ্রুত সম্ভব পাঁচ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা উচিত। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আদালতে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সাফাইকর্মী ছিল অক্ষয় শিন্ডে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্কুলের চার বছরের যে দুই ছাত্রীর উপর লাগাতার যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল সে। তদন্তে উঠে আসে, কমপক্ষে ১০-১২ দিন ধরে ওই দুই শিশুর উপরে যৌন নিগ্রহ চালিয়েছিল অক্ষয়। গত সোমবারই অক্ষয় শিন্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঠাণে নিয়ে যাচ্ছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বরা বাইপাসের কাছে পৌঁছতেই শিণ্ডে এক অফিসারের রিভলভার ছিনিয়ে নিয়ে দু-তিন রাউন্ড গুলি করে। তাতে এক পুলিশ অফিসার আহত হয়। এরপরই অন্য এক পুলিশ অফিসারের গুলিতে গুরুতর আহত হয় শিন্ডে। কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।