শেষ আপডেট: 25th October 2024 15:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বন্দে-ভারত ট্রেন উদ্বোধন হওয়ার পর তাকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। একদিকে কম সময়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরে মানুষ যেমন উপকৃত, তেমনই উল্টোদিকে এই ট্রেনের খাবার, বগি তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বন্দে-ভারত স্লিপার ট্রেনে কি এইসব সমস্যা থাকবে? নয়া লুকের ছবি দেখে তা মানতে চাইবে না কেউই।
চেন্নাইয়ের 'ইন্টেগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি' বন্দে-ভারত স্লিপার ট্রেন লঞ্চ করার মুখে। তার আগে সেই ট্রেনের কিছু ছবি প্রকাশ্য এসেছে যা দেখে চমকে গেছেন অনেকেই। ৮০০ কিমি থেকে ১,২০০ কিমি দূরত্বের জার্নির জন্য এই ট্রেন প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। মূলত যাত্রীদের রাতের ট্রেন জার্নিতে আরাম দেওয়াই এই স্লিপার ট্রেনের লক্ষ্য।
বর্তমানে যে বন্দে-ভারত ট্রেন চলে তা নিয়ে অনেকের অনেক অভিযোগ থাকলেও এই স্লিপার ট্রেন নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকবে না বলে এখন থেকেই দাবি করা হচ্ছে। কারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক ফিচার দেওয়া হয়েছে এই নতুন ট্রেনে। বন্দে-ভারত স্লিপার ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হওয়ার কথা। এটাও একটা বড় বৈশিষ্ট্য এই ট্রেনের।
কী কী ফিচার রয়েছে বন্দে-ভারত স্লিপার ট্রেনের?
১। এই ট্রেনটি হতে চলেছে ১৬ কোচের যেখানে ৮২০ যাত্রীর যেতে পারে। গোটা ট্রেন এসি।
২। দরজায় লাগানো থাকবে সেন্সর। যাত্রীরা হাত দিলেই দরজা খুলে যাবে।
৩। টাচ-ফ্রি বায়ো ভ্যাক্যিয়ুম টয়লেট দেওয়া হয়েছে এই ট্রেনে।
৪। সহজে যাতায়াতের করা যাবে তার জন্য রয়েছে ইন্টারকানেক্টিং দরজা।
৫। যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনের কর্মীদের সহজে যোগাযোগের জন্য থাকছে টক-ব্যাক ইউনিট।
৬। বিমানের মতো বোতাম পরিষেবা যাতে আপার বার্থে সহজে পৌঁছনো যায়। যদিও এটি থাকবে শুধু ফার্স্ট ক্লাস বগিতে।
এছাড়া এই ট্রেনে আপৎকালীন ব্রেক থেকে শুরু করে 'কবজ', সবরকমের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ট্রেন কবে উদ্বোধন হবে বা যাত্রী পরিষেবা কবে থেকে দিতে পারবে, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
রেল সূত্রে খবর, আগামী দু'মাস ধরে একাধিক পরীক্ষা করা হবে এই ট্রেনের। ৯০ থেকে ১৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চালিয়ে দেখা হবে। আশা করা হচ্ছে নভেম্বর মাসের মধ্যেই যাবতীয় পরীক্ষা শেষ হবে। তাই অনুমান, নতুন বছরের প্রথম দিকেই আত্মপ্রকাশ ঘটবে বন্দে-ভারত স্লিপার ট্রেনের।