প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 23rd February 2025 13:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) সিআইডি দফতরে আয়োজিত একটি সরকারি অনুষ্ঠানের খাবারের বাক্স থেকে উধাও হয়ে গেছিল সিঙাড়া (samosa row)। মাস তিনেক আগের সেই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই হাসির রোল ছড়িয়েছিল সর্বত্র। সেই ঘটনায় এবার পুলিশের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এই ঘটনা জানাজানির মাধ্যমে সিআইডি-র গোপন নথি ফাঁস (confidential docs leaked) হয়ে গেছে, যার ফলে সংস্থার এবং রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কী এই সিঙাড়া-কাণ্ড?
বিতর্কের সূত্রপাত ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে। হিমাচল প্রদেশ সিআইডি সদর দফতরে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর উপস্থিতিতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অভিযোগ ওঠে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করা খাবারের বাক্স থেকে সিঙাড়া উধাও হয়ে গিয়েছিল।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জল্পনা ছড়ায়, সিঙাড়া চোরকে ধরতে সিআইডি একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। যদিও সিআইডি আধিকারিকরা এই দাবি নস্যাৎ করে জানান, এটি 'অভ্যন্তরীণ বিষয়', যা অপ্রয়োজনীয়ভাবে বড় করে দেখানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরও স্পষ্ট করে দেয়, সিঙাড়া নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
কিন্তু এর পরেই সিআইডি-র এসপি রাজেশ কুমার অভিযোগ করেন যে, সংস্থার গোপন নথি বেআইনিভাবে সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যা সিআইডি ও রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেছে। তাঁর অভিযোগে বলা হয়েছে, 'সিআইডি-র গোপন তথ্য ও নথি বেআইনিভাবে ফাঁস করা হয়েছে এবং এগুলোকে ভুলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।'
তিনি আরও দাবি করেন, তদন্তে উঠে এসেছে, যে কিছু সিআইডি কর্মী অন্যদের সঙ্গে মিলে গোপনে নথিগুলি কপি করে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা সংবাদমাধ্যমে সরবরাহ করে। এর ফলে নথিগুলি মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যা সংস্থার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শিমলার ইস্ট পুলিশ স্টেশনে একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিমাচল সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেন, 'কে সিঙাড়া খেল তা জানার জন্য প্রথমে রাজ্যের সম্পদ ব্যয় করা হয়েছিল, এখন সেই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট কে ফাঁস করল, তা খুঁজতেও সরকারের সম্পদ অপচয় করা হচ্ছে!'
তিনি আরও বলেন, ‘সুখু সরকার দিশাহীন, বিশৃঙ্খল এবং স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে। প্রকৃত অপরাধীদের ধরার কোনও তাগিদ নেই। গত ৫০ দিনে রাজ্যে ১৬টি খুন হয়েছে। মাদকে মৃত্যু বাড়ছে। খনি মাফিয়ারা রাস্তা ও ব্রিজ কেটে দিচ্ছে। অথচ রাজ্যের পুলিশ সিঙাড়ার পিছনে ছুটছে।’