আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ চিত্র পরিচালক মহেশ কালাওয়াদিয়া। স্ত্রীর আশঙ্কা, তিনি ওই এলাকাতেই ছিলেন, হয়তো বিমান ভেঙে পড়ে মাটিতে থাকা অবস্থায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদেরই একজন।
এয়ার ইন্ডিয়া ক্র্যাশের পর থেকে নিখোঁজ পরিচালক।
শেষ আপডেট: 16 June 2025 05:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ এক চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁর মোবাইল ফোনের শেষ অবস্থান ছিল দুর্ঘটনাস্থলের মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। স্ত্রীর আশঙ্কা, তিনিও হয়তো বিমান পড়ে ওই এলাকায় মৃত ২৯ জনের মধ্যেই রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 ফ্লাইটটি ভেঙে পড়ে মেঘানিনগরের একটি মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনই প্রাণ হারান। এর বাইরে আরও ২৯ জন মারা যান ওই ক্যাম্পাসে অবস্থায়। ফলে মোট প্রাণহানি দাঁড়ায় ২৭০ জনে।
এর মধ্যেই খবর এসেছে, নরোদা এলাকার বাসিন্দা মহেশ কালাওয়াদিয়া নিখোঁজ ওই ঘটনার পর থেকেই। তিনি মহেশ জিরাওয়ালা নামেও পরিচিত, মূলত মিউজিক অ্যালবাম নির্মাতা হিসেবে কাজ করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ল’ গার্ডেন এলাকায় এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী হেতাল জানিয়েছেন, 'দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে উনি আমাকে ফোন করে বলেন, মিটিং শেষ হয়েছে, এখন বাড়ি ফিরছেন। তারপর আর ফিরে আসেননি। আমি ফোন করলে বন্ধ পাচ্ছি সেই থেকে।'
পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করলে দেখা যায়, শেষ অবস্থান ছিল বিমান দুর্ঘটনাস্থলের মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। হেতাল আরও জানান, 'বিকেল ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ, অর্থাৎ বিমানের উড়ানের ঠিক এক মিনিট পরেই ওঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। ওঁর স্কুটার আর মোবাইল— দুটোই নিখোঁজ। সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয়, ও কখনওই ওই রাস্তাটা ব্যবহার করে না বাড়ি ফেরার সময়। এসব কিছুই অস্বাভাবিক লাগছে।'
এ অবস্থায় কালাওয়াদিয়া পরিবার ডিএনএ স্যাম্পল জমা দিয়েছে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি দুর্ঘটনার মারা যাওয়া অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদের একজন কিনা। কারণ দুর্ঘটনাস্থলে এমন বহু মৃতদেহ ছিল যেগুলো দগ্ধ ও বিকৃত হয়ে পড়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না।
ঘটনার তিন দিন পর, রবিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৪৭টি মৃতদেহ DNA মিলিয়ে শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে ২৪টি মৃতদেহ পরিবারদের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে। তবে মহেশের বা তাঁর দেহের খোঁজ এখনও মেলেনি।