শেষ আপডেট: 6th September 2024 07:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল যে, উপত্যকায় শান্তি ফিরবে, জঙ্গি হামলার ঘটনাও কমবে। কিন্তু বিগত কয়েক বছরের যা পরিসংখ্যান তা স্বস্তি দেবে না মোদী সরকারকে। কারণ, একাধিকবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, প্রাণও গেছে বহু জওয়ানের। এই তথ্য তুলে ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। তাঁর কথায়, সেনাবাহিনী ছাড়া শান্তি আনা উচিত।
জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনের আগে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রেসিডেন্ট ফারুক আবদুল্লা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি বলেছেন, ''কত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে? কতজন বন্দুকধারী জওয়ান রয়েছে? রাস্তায় হেঁটে গেলে বোঝা যাবে। এটাকে কি শান্তি বলে? পরিবেশ শান্ত তখনই বলব যখন এই জওয়ানদের আশেপাশে দরকার পড়বে না।'' একই সঙ্গে, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আওয়াজ ফের তুলেছেন তিনি। ফারুকের প্রশ্ন, ''আমরা কেন দিল্লির অধীনে থাকব?''
কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ব্যাপক সমালোচনা করে ফারুক আবদুল্লা আরও বলেন, ''বিজেপি সরকার আমাদের মর্যাদা কমিয়ে দিয়েছে। ভারতের স্বাধীনতার পর আমি কখনও দেখিনি জম্মু-কাশ্মীর ছাড়া কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ৩৭০ ধারা তুলেও কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। জঙ্গি হামলা কি বন্ধ হয়েছে উপত্যকায়, আমার প্রশ্ন এটাই থাকবে।'' ফারুকের অভিযোগ, বিগত ৫ বছর ধরে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র, তারও কোনও যথাযথা কারণ নেই।
এদিকে ইতিমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ সচেষ্ট হবেন তাঁরা। রাহুলের কথায়, দেশের ইতিহাসে এর আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার নজির রয়েছে। কিন্তু রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার উদাহরণ কেবল একটাই। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন তাঁরা।