শেষ আপডেট: 2nd November 2024 16:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইে সন্দেহভাজন দুই পাক জঙ্গি নিহত হয়েছে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে শুক্রবার রাজ্যের বাগদাম জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান দুই পরিযায়ী শ্রমিক। এক সপ্তাহ আগে গান্দেরবাল জেলায় জঙ্গিরা এক চিকিৎসক ও ছয়জন নির্মাণ শ্রমিককে হত্যা করে।
রাজ্যে লাগাতার জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে শনিবার সকালে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা। ফারুকের পুত্র রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর দিন পনেরো হল রাজ্যের নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন। দশ বছর পর গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হয় এবং পাঁচ বছর মেয়াদি রাষ্ট্রপতি শাসনের আপাতত অবসান হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ফারুক শনিবার বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর চেষ্টা করা উচিত হত্যা না করে জঙ্গিদের পাকড়াও করা। তাহলে তদন্ত করে বোঝা যাবে তাদের পিছনে কোন চক্র বা শক্তি কাজ করছে। তাঁর কথায়, জঙ্গি মরে গেলে চক্রের হদিশ পাওয়া যাবে না। ফারুক বাগদামে দুই পরিযায়ী শ্রমিক হত্যার ঘটনাটি নিয়ে বিশেষভাবে তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি মনে করছেন, ওই ঘটনা রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্য করা হয়ে থাকতে পারে।
ঘটনা হল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হানা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত সন্ত্রাসীদের পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী বলা হয়ে থাকে। ফারুক চান, জঙ্গিদের পরিচয় নিয়ে বিশদ তদন্ত হোক। মুখে না বললেও তিনি বোঝাতে চান জঙ্গিদের ভিন্ন কোনও পরিচয় থাকলে তা জানা দরকার। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হলে জানার সুযোগ থাকছে না তাদের ভিন্ন পরিচয় এবং কোন গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করছিল।
ফারুকের বক্তব্যকে সমর্থন বা বিরোধিতা, কোনওটাই না করে আর এক প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রের বারামতীতে বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। দেশের প্রতি তাঁর দায়িত্ববোধও প্রশ্নাতীত। তাঁর কথা যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে বিবেচনা করা উচিত সংশ্লিষ্ট সব মহলের। এনসিপি নেতার কথায়, ফারুক আবদুল্লাহ নিশ্চয়ই কোনও বাস্তব অভিজ্ঞতার কারণে এমন কথা বলেছেন।
জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দর রায়না অবশ্য ফারুকের কথাকে গুরুত্ব দিতে চাননি। উপেক্ষার সুরেই এই বিজেপি নেতা বলেছেন, কে না জানে জঙ্গিরা পাকিস্তানি। পাকিস্তান সরকার তাদের জন্মু-কাশ্মীরকে অশান্ত করে রাখতে পাঠায়।