শেষ আপডেট: 21st February 2024 08:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে কৃষকদের 'দিল্লি চলো' অভিযান। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই এজন্য পুরোদস্তুর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
একদিকে পাঞ্জাব হরিয়ানা এবং দিল্লির সীমান্তে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ ও আধা সেনা মোতায়ন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল কামান এবং বিপুল সংখ্যায় কাঁদানে গ্যাসের সেল।
গত সপ্তাহে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের বৈঠকে যে প্রস্তাব উঠে এসেছিল তা শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয়নি। কৃষক সংগঠনগুলি সরকারের প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে দুদিন সময় চায়। মঙ্গলবার তারা জানিয়ে দেয় সরকারের প্রস্তাব তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরই তারা দ্বিতীয় দফায় বুধবার থেকে 'দিল্লি চলো' অভিযান পুনরায় শুরু করার ডাক দেয় l
এদিকে দ্বিতীয় দফার আন্দোলন শুরুর মুখে কেন্দ্রীয় সরকার ১৭৭টি সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। এর মধ্যে ফেসবুক, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি রয়েছে
কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ২০০৬ সালের এই সংক্রান্ত আইনের ধারা বলে সেগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওই মন্ত্রকের বক্তব্য, নিরাপত্তার কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুপারিশের ভিত্তিতে তারা এই পদক্ষেপ করেছে। ওইসব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, সামাজিক মাধ্যমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। দু বছর আগের কৃষক আন্দোলন, তার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া।।কেন্দ্রের খাঁড়া নেমে এসেছিল তখনও।
এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে ফের সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য এই ব্যাপারে মিডিয়ার একাংশ কংগ্রেসের বক্তব্য বিকৃত করছে। রাহুল ক'দিন আগে ঘোষণা করেন কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করবে। প্রয়াত বিজ্ঞানী স্বামীনাথন কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার ফর্মুলা তার রিপোর্টে উল্লেখ করে গিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছিল ফসল উৎপাদনের মোট খরচের পাঁচ গুণ অর্থ বিক্রয় মূল্য হিসেবে পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। বিজেপি সরকার এই ব্যাপারে অতীতে প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন বেঁকে বসেছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেছেন তাঁরা হুবহু স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করবেন।
এরপরই মিডিয়ার একাংশ প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছিল। রাহুল এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেসের বক্তব্য তারা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আগেই লোকসভার ভোট এসে গিয়েছিল ফলে ইউপিএ সরকারের পক্ষে এমএসপি নিয়ে কোন পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারে তা চালু করার কথা বলা হয় তখন। বর্তমানে চালু তেইশটি ফসলের উপর এমএসপি চালু হয়েছিল ইউপিএ জমানাতেই।