শেষ আপডেট: 4th October 2024 12:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমেঠির ভবানীনগরে এক দলিত শিক্ষকের বাড়িতে হঠাৎ ঢুকে যায় কিছু দুষ্কৃতী। তারপরই ওই শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যা সন্তানকে গুলি করে খুন করে তারা। মৃত শিক্ষক সুনীল কুমার, তাঁর স্ত্রী পুনম ও ৬ বছর ও এক বছরের দুই শিশুকন্যাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বলতে গেলে পুলিশের নাকের ডগায়। স্থানীয় একটি মেলা উপলক্ষে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল বাড়ির কাছেই। শুধু তাই নয়, মাস দেড়েক আগেই পুনম নিজে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন, তিনি ও তাঁর পরিবার বিপদের মধ্যে আছেন, হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। অভিযোগ, সেদিন পুলিশ পদক্ষেপ করলে এই খুন আটকানো যেতে পারত।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত শিক্ষক ভবানীনগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ক'দিন আগেই প্রাণহানি ও যৌন নির্যাতনের আশঙ্কা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। আর তারপর বৃহস্পতিবার এই হামলা।
পুরনো এফআইআর থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১৮ অগস্ট পুনম তাঁর স্বামী ও এক সন্তানকে নিয়ে রায়বরেলির এক হাসপাতালে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন। সেখানে চন্দন ভার্মা নামে একজন তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এর প্রতিবাদ করায় সে পুনমকে চড় মারে এবং স্বামীর জাত তুলে কথা বলতে থাকে। হুমকি দেয় দেখে নেওয়ার।
এর পরেই থানায় যান পুনম। এফআইআর-এ পুনম লেখেন, 'ওই ব্যক্তি জানায়, যদি কোথাও কোনও অভিযোগ করা হয় তবে সে আমাকে মেরে ফেলবে। এর আগেও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমার পরিবার বিপদে রয়েছে। ভবিষ্যতে আমার বা আমার স্বামীর সঙ্গে কোনও ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটলে, চন্দন ভার্মা দায়ী থাকবেন। আমি আমার অভিযোগ নথিভুক্ত করার এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।'
এর পরে দু'মাস না পেরোতেই সত্যি হল আশঙ্কা। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা খতিয়ে দেখছে এই হামলার ঘটনার সঙ্গে চন্দন ভার্মা জড়িত কিনা। ঘটনার মূল চার অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলির খোল এবং একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
এই ঘটনায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এসসি-এসটি আইনে মামলাও দায়ের হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হবে।