শেষ আপডেট: 6th March 2025 12:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশ্মীর সমস্যার সমাধান মোটেই কঠিন কাজ নয়। শুধু ভারতের অবিচ্ছিন্ন অংশ কাশ্মীরের যে টুকরোটি পাকিস্তান চুরি করে দখল করে রেখেছে, সেটা আমাদের হাতে তুলে দিলেই সব সমস্যার নিমেষে সমাধান হয়ে যাবে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুধবার লন্ডনের এক আলোচনাসভায় প্রশ্নের জবাবে সোজাসাপ্টা এই উত্তর দেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর ইস্যু প্রায় মিটে এসেছে। আমরা শুধু অপেক্ষায় রয়েছি, পাকিস্তানের চুরি করা পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত দেওয়ার।
জয়শঙ্কর বলেন, পাকিস্তান চোরের মতো কাশ্মীরের যে অংশ দখল করে রেখেছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। ভারতের সেই জমি ফেরত দিলেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান তখনই হয়ে যাবে। আমরা অপেক্ষা করছি, পাকিস্তান যেন দখল করা কাশ্মীর ফেরত দেয়। বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, কাশ্মীরের সমস্যা মেটাতে আমরা অনেক ভালো ভালো পদক্ষেপ করেছি। যার মধ্যে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি একটি কাজ। এরপর আমাদের সরকার বৃদ্ধি, আর্থিক উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সেখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনও হয়ে গিয়েছে। সেই ভোটে রেকর্ড মাত্রায় জনসাধারণ অংশ নিয়েছিলেন।
পাকিস্তান ছাড়াও চিন প্রসঙ্গেও ভারতের বৈদেশিক নীতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, আমরা চিনের সঙ্গে একটি স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলায় আগ্রহী। যেখানে ভারতের স্বার্থকে মর্যাদা দেওয়া হবে এবং দেশের সংবেদনশীলতার দিকগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দুই দেশের জন্যই সীমান্ত শান্তি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিদেশমন্ত্রী তাঁর বর্তমান লন্ডন সফরে বিশ্ববিখ্যাত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাঠাম হাউসের সঙ্গে আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
এদিকে, অনুষ্ঠানের শেষে জয়শঙ্কর বেরনোর সময় খলিস্তানপন্থীরা বিদেশমন্ত্রীকে হেনস্তা করে। লন্ডনের রাস্তায় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে খলিস্তানিরা স্লোগান দিতে দিতে মন্ত্রীর গাড়ির দিকে হামলার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায়। জয়শঙ্করের চোখের সামনে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে কুচিকুচি করে দেওয়া হয়। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আলোচনাস্থলের বাড়ির প্রধান ফটকের উল্টোদিকে রাস্তার ধারে বেশ কয়েকজন খলিস্তানি পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। জয়শঙ্কর বেরিয়ে গাড়িতে উঠতেই এক ব্যক্তি তেরঙা পতাকা হাতে তুলে ধরে জয়শঙ্করের গাড়ির সামনে তুলে ধরে চিৎকার শুরু করে। তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে তাঁকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে গেলেও জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে ওই ব্যক্তি।