শেষ আপডেট: 7th April 2025 16:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আন্তর্জাতিক বাজারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে যখন খনিজ তেলের দাম হু-হু করে পড়ছিল, তখন আচমকাই কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় আমজনতা ও রাজনৈতিক মহলে হালচাল পড়ে গিয়েছে। খুচরো বাজারে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির কারণ কিছু জানায়নি কেন্দ্র। আগামিকাল মঙ্গলবার থেকেই এই নয়া দাম কার্যকর হতে চলেছে। পেট্রলের ক্ষেত্রে অন্তঃশুল্কের পরিমাণ ২ টাকা করে বেড়ে ১৩ টাকায় এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে দাম ১০ টাকা প্রতি লিটারে দাম ধার্য হবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনা মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি এক্সবার্তায় লিখেছেন, পৃথিবী জুড়ে তেলের দামে পতন ঘটেছে। তাই দেখে দেশের মানুষের বিশ্বাস ছিল যে, তেলের দাম কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে। লাভ জুটবে গ্রাহকদের কপালে। কিন্তু এই সরকার এক্সাইজ শুল্ক বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের লুটে নেওয়ার কার্যক্রম বজায় রেখেছে। জয় হো মোদীজি কি মডেল কি!
এদিকে, শিল্প মহলের অনুমান, খুচরো বাজারে এই অন্তঃশুল্ক বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পড়বে না। বর্ধিত ২ টাকা অন্তঃশুল্ক বিশ্ববাজারে পেট্রলিয়ামের দামের পতনের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখবে। কারণ, প্রায় তিন বছর পর গত সপ্তাহের শেষে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬২ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছিল। যার সঙ্গে অনেকেই ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের সম্পর্ক টেনেছেন।
স্বাভাবিকভাবেই তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬৫ ডলারের নীচে নেমে আসায় অনেকেরই ধারণা ছিল খুচরো বাজারেও তেলের দাম কমবে। সোমবারেও ভারতীয় সময় মধ্যাহ্নের পরবর্তীতেও ব্রেন্ট ক্রুড ওয়েলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৬৩.২৩ ডলার। যা প্রায় ৩ শতাংশ পতন বলে পরিসংখ্যানে বলছে। এদিন শুল্কবৃদ্ধির পরপরই কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের তরফে এক এক্সবার্তায় দাবি করা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি জানিয়েছে পেট্রল-ডিজেলের খুচরো বিক্রিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। অর্থাৎ পেট্রল পাম্পে তেলের দাম বাড়বে না। কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীও এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন গ্রাহকদের।