শেষ আপডেট: 8th December 2024 17:53
কলকাতা ব্যুরো: অভিযোগের সপক্ষে কোনও যথেষ্ট প্রমাণ নেই। সে কারণেই পুলিশি হেফাজতে অভিযুক্তর উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ উঠলেও বেকসুর খালাস পেলেন প্রাক্তন আইপিএস সঞ্জীব ভাট।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের পুরনো একটি মামলায় বিতর্কিত প্রাক্তন আইপিএসকে স্বস্তি দিল গুজরাতের এক আদালত। সন্ত্রাসবাদ ও বেআইনি অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় নারান যাদব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়। তার জন্য পুলিশ হেফাজতে নৃশংস নির্যাতন করেন সঞ্জীব ভাট ও বজুভাই চাউ নামে এক কনস্টেবল। যাদবকে বেঁধে তাঁর শরীরের নানা জায়গায় বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়। বাদ যায়নি যাদবের পুত্রও।
এরপরই ১৯৯৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলা দায়ের হয় সঞ্জীব ভাট ও বজুভাই চাউয়ের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে ২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট এফআইআর দায়ের করা হয়। যদিও সেই মামলায় প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হলেন সঞ্জীব। অন্যদিকে বজুভাই চাউয়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, গুজরাতের পোরবন্দর জেলার একটি আদালত শনিবার প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটকে ১৯৯৭ সালের হেফাজতে নির্যাতনের মামলা থেকে বেকসুর খালাস করে। মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার ভিত্তিতে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। প্রমাণের অভাবেই গুজরাটের পোরবন্দরের তৎকালীন পুলিশ সুপারকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
আইপিএস সঞ্জীবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ১৯৯০ সালে জামনগরে পুলিশি হেফাজতে নৃশংস নির্যাতনের জেরে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন ভাট। অন্যদিকে ১৯৯৬ সালে রাজস্থানের এক আইনজীবীকে মাদক মামলা ফাঁসানোর অভিযোগে ২০ বছরের সাজা হয়েছে তাঁর।
শুধু তাই নয়, নির্দোষ ব্যক্তিদের হেফাজতে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য করার মতো অভিযোগ বার বার উঠেছে এই প্রাক্তন আইপিএসের বিরুদ্ধে। একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে রাজকোটের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী তিনি। এরই মাঝে ১৯৯৭ সালের এক মামলায় বেকসুর মুক্তি পেলেন সঞ্জীব ভাট।
জানা গেছে ১৯৯০ সালে জামনগর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে ছিলেন সঞ্জীব। ১৯৯০ সালে বিহারে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথ আটকে দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল লালুপ্রসাদ যাদবের সরকার। আডবাণী গ্রেফতার হওয়ার পর দেশের নানা প্রান্তে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। জামনগর জেলার যোধপুর শহরে দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫০ জনকে গ্রেফতার করেছিলেন সঞ্জীব।