শেষ আপডেট: 28th October 2024 07:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘বিমানে বোমা রাখা আছে।’ এমন বার্তা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ভারতে বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের। বোমা রাখা আছে বলে গত পনেরো দিনে ৫০টি বিমান সম্পর্কে খবরের জেরে পরিষেবায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে। তার উপর ঘূর্ণিঝড় দানার সময় কলকাতা ও ভুবনেশ্বরের বিমানবন্দর দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় বহু বিমান চালানো যায়নি। রুট বদল করতে হয়েছে একাধিক বিমানের। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক বলছে, এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার নজির নেই।
এদিকে, ‘বিমানে বোমা রাখা আছে’ বার্তার প্রভাব পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরেও। প্রধানমন্ত্রী সোমবার নিজের রাজ্য বরোদায় যাবেন। তার আগে বোমাতঙ্ক গ্রাস করেছে তাঁর সফরকে। রবিবার বিকালে গোয়া-বরোদা রুটের একটি বিমানকে অবতরণের শেষ মুহূর্তে সুরাতে নিয়ে নামাতে হয়। বরোদায় অবতরণের মুহূর্তে খবর আসে ওই বিমানে বোমা রাখা আছে। যদিও তল্লাশি করে কিছুই পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে বরোদা যাবেন। স্বভাবতই গুজরাতের ওই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ক’দিন আগে থেকেই জোরদার করা হয়েছে। সোমবার আরও কড়াকড়ি থাকবে ওই বিমানবন্দরে। তবে নিরাপত্তা আধিকারিকরা চিন্তিত বোমা সংক্রান্ত বার্তা নিয়ে। বিমান সুরক্ষার আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী এই ধরনের বার্তাকে সর্বদা সত্য ধরে নিয়ে বিমান পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
গত মাস তিনেক যাবত বোমাতঙ্ক ভারতের বিমান পরিষেবাকে প্রবলভাবে গ্রাস করেছে। গত দিন পনেরো যাবত তা সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগোর বিমান বেশি। ইন্ডিগোর বহু বিমানের রুট বদল করতে হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার একাধিক বিদেশগামী ফ্লাইটকে মাঝপথে কোনও বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছে বোমা রাখা আছে বলে খবর আসায়।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা অবশ্য বলেন, একটি বিষয় ইতিবাচক। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিমানের জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি, যাত্রীদের উদ্ধারের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার অনুশীলন হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী সব সংশ্লিষ্ট সময় মহলের। গোয়েন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, নাশকতার উদ্দেশে কোনও জঙ্গি সংগঠন হয়তো ভুয়ো খবর ছড়িয়ে বুঝে নিচ্ছে, ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা কতটা সুরক্ষিত। সম্ভাব্য সেই পরীক্ষায় ভারত এখনও সফল।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, বেশিরভাগ বার্তাই এসেছে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে। বিদেশ থেকে সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করছে ভুয়ো বার্তা প্রেরকরা। বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এই ব্যাপারে ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। কথা বলেছে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গেও।