শেষ আপডেট: 8th July 2024 13:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে কর্মী পিএফের (ইপিএফ) মাস বেতনের ঊর্ধ্বসীমা। দশ বছর ধরে একই থাকার পরে পরিবর্তনের পথে এগোল এই বেতন। শেষবার এটি করা হয়েছে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর। সাড়ে ৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছিল ১৫ হাজার। এবার তা আরও বেড়ে হতে চলেছে ২৫ হাজার।
শ্রম মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, এই নিয়ে দফায় দফায় শীর্ষ স্তরের বৈঠক হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। কোনও অফিসিয়াল মন্তব্য করতেও রাজি হয়নি শ্রম মন্ত্রক এবং তার আওতায় থাকা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও)। জানা গেছে, একটি প্রস্তাবও তৈরি করা হয়েছে এই ইস্যুতে। এ মাসেই যে বাৎসরিক পূর্ণাঙ্গ সাধারণ বাজেট পেশ করা হবে, তাতেই এই সংক্রান্ত ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
কর্মী পিএফের (ইপিএফ) মাস বেতনের ঊর্ধ্বসীমা-- এই বিষয়টি ঠিক কী?
দেশের যেসব বেসরকারি সংস্থায় বা প্রতিষ্ঠানে অন্ততপক্ষে ২০ জন কর্মী থাকেন, সেইসব সংস্থা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন বা ইপিএফও-র আওতায় ঢোকে। এখন, ওইসব সংস্থার যে কর্মীরা মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান, তাঁরা ইপিএফ পরিষেবা পান বাধ্যতামূলকভাবে।
ইপিএফ পরিষেবা কী?
ইপিএফও-র আওতাভুক্ত গ্রাহকরা প্রতি মাসে তাঁদের রোজগারের ১২ শতাংশ অর্থ কন্ট্রিবিউশন হিসেবে জমা দেন ভবিষ্যনিধি বা প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে। ওই গ্রাহকের হয়ে তাঁর নিয়োগকর্তা আরও ১২ শতাংশ অর্থ পিএফ খাতে কন্ট্রিবিউট করেন। এর পরে ওই মোট অর্থের ৮.৩৩ শতাংশ যায় গ্রাহকের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমে (ইপিএস) এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ যায় তাঁর ইপিএফ অ্যাকাউন্টে।
তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশে কর্মী পিএফের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি। এখন মাস বেতনের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করা হলে আরও অন্তত কয়েক কোটি নতুন গ্রাহক এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবার আওতায় চলে আসবেন। সেই সংখ্যাটা কত হতে পারে, সেই হিসেবই চলছে শ্রম মন্ত্রকের অন্দরে।
এখনও পর্যন্ত মোট ন’দফায় কর্মী পিএফের সর্বোচ্চ মাস বেতনের ঊর্ধ্বসীমা পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে হয়েছিল শেষবার। তার ১০ বছর পরে সেই উর্ধ্বসীমার পরিমাণ বাড়তে চলেছে।