বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
শেষ আপডেট: 7th January 2025 09:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। চলতি বিধিতে বলা আছে, উপচার্য হতে পারবেন শিক্ষা জগতের কোনও বিশিষ্টজন। নয়া খসড়া বিধিতে বলা হয়েছে সমাজের যে কোনও পেশার গুণজন উপাচার্য হতে পারবেন।
নয়া বিধিতে উপচার্য নিয়োগে ক্ষমতা বাড়ছে আচার্যদের। বলা হয়েছে, সার্চ কমিটির তৈরি প্যানেল থেকে একজনকে বেছে নিতে পারবেন আচার্যরা। মাঝমানে দ্বিতীয় বা তৃতীয় কারও মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
তবে নয়া বিধিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আচার্য বলতে শুধু রাজ্যপালদেরই বিবেচনা করা হবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আচার্য করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, উপাচার্য পদে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী এবং আলিয়া বিশ্বিবিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা উপাচার্যরা কেউ শিক্ষা জগতের মানুষ নয়। রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। আলিয়ার উপাচার্য একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁদের নিয়োগ করেছেন তাঁর বিশেষ ক্ষমতাবলে।
প্রচলিত ব্যবস্থায় রাজ্যপালেরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের ভূমিকা পালন করে থাকেন। যদিও বেশ কিছু রাজ্যে রাজ্যপালের পরিবর্তে সরকারের মনোনীত ব্যক্তিরা আচার্যের ভূমিকা পালন করেন। ইউজিসির নয়া বিধিতে সেটাই সাধারণ নিয়ম হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ যে কোনও বিশিষ্টজনকে সরকার আচার্য হিসাবে বেছে নিতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে বিধানসভায় একটি আইন পাশ হয়ে আছে। রাজ্যপাল বিলটিতে সম্মতি না দেওয়ায় সেটি কার্যকর করা যায়নি।
সমাজের নানা পেশার গুণিজনদের উপাচার্য করার প্রস্তাবটি নতুন নয়। ইউজিসি এখন সেটি বাস্তবায়িত করতে চাইছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ামক সংস্থার মতে, এরফলে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সমাজের সব অংশের সম্পৃক্ততা বাড়বে। নতুন নতুন ধারণায় সমৃদ্ধ হবে উচ্চশিক্ষা।