শেষ আপডেট: 7th January 2025 11:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বহু প্রতীক্ষিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট মঙ্গলবার দুপুরে ঘোষণা করতে চলেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ৭০ সদস্যবিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। সুতরাং, স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে, তার আগে মিটে যাবে সরকার গঠনের পর্ব। ২০২০ সালের ভোট ঘোষণা হয়েছিল ৬ জানুয়ারি। ভোট হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি ও গণনা-ফলপ্রকাশ হয়েছিল ১১ ফেব্রুয়ারি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি জয়ের হ্যাটট্রিক করার লক্ষ্যে ভোটে নামছে। লোকসভা নির্বাচনে তারা ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবে কংগ্রেসের সঙ্গে লড়লেও এবারে তারা একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
২০১৫ ও ২০২০ সালে আপ যথাক্রমে ৬৭ ও ৬২টি আসনে জিতেছিল। কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপি একক সংখ্যার আসনেই সীমাবদ্ধ থেকে গিয়েছিল। ১৫ বছর ধরে দিল্লি শাসন করা কংগ্রেসের ভাঁড়ার ছিল শূন্য। সব মিলিয়ে এবার ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতে চলেছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের আগে থেকেই আপ এবং বিজেপির তুমুল বাগযুদ্ধে জমে উঠেছে রাজধানীর রাজনীতি। কেজরিওয়ালের আমলে আবগারি কেলেঙ্কারি ও মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সংস্কার নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমরে নেমেছেন। অন্যদিকে, কেজরির দলও তৃতীয়বার সরকার গঠনে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই ভোটে প্রভাব খাটাতে সিবিআই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপি তার জবাবে বলেছে, এসব ভুয়ো খবর ছেড়ে আম আদমি পার্টি বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। ভোটারদের সহানুভূতি কুড়ানোর চেষ্টা করছে। আসলে আপের দুর্নীতি নিয়ে মানুষ বুঝে গিয়েছে। এখন পায়ের তলায় মাটি নেই।
Ghajini : Part 2 ???????? pic.twitter.com/GwWRb2evZg
— AAP (@AamAadmiParty) January 7, 2025
মঙ্গলবার সকালেই আপ একটি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলিউড ছবি আমির খান অভিনীত 'গজনি'র নায়ক করে তোলা হয়েছে। যে চরিত্রটি স্বল্পমেয়াদের জন্য স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছিল। গজনি: পার্ট টু-তে দেখা গিয়েছে, অমিত শাহ আমির খানের মতোই কাগজ ঘাঁটছেন যেখানে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি ছিল, কিন্তু মনে করতে পারছেন না অতীত দিনের কথা। অর্থাৎ ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে, বিজেপি ভোটে জিততে মানুষকে কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, সেসব ভুলে গিয়েছে এবং কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেনি মানুষের জন্য। দিল্লির আসন্ন বিধানসভা ভোটের মুখে 'ফির লায়েঙ্গে কেজরিওয়াল' শীর্ষক প্রচারের একটি অঙ্গ ভিডিওটি।