দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিন দুয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নাম না করে 'পনৌতি' অর্থাৎ অপয়া বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেই ঘটনায় বুধবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল বিজেপি। তার একদিন পরেই, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় রাহুলকে নোটিস দিয়ে জবাব চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার বিকেল ৬টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে 'অপয়া' এবং 'পকেটমার' বলার ঘটনায় ওয়েনাডের সাংসদের কাছে উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। নির্বাচনের আগে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করার জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে রাহুলকে।
আগামী ২৫ নভেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। গত মঙ্গলবার সে রাজ্যেই একটি নির্বাচনী প্রচারে নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে বেনজির কটাক্ষ করেন রাহুল। রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারের জন্য তিনি দায়ী করেন মোদীকেই। প্রসঙ্গত, ওইদিন আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতির কারণেই ভারত সেই ম্যাচে জিততে পারেনি বলে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেই ঘটনায় বুধবার রাহুলের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠোকে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে রাহুল 'পকেটমার' বলে কটাক্ষ করেছেন বলেও রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পদ্ম শিবির। তারপরেই রাহুলের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস পাঠাল কমিশন।
নির্বাচন কমিশন তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, একজন প্রধানমন্ত্রীকে পকেটমারের সঙ্গে তুলনা করা এবং অপয়া জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা জাতীয় রাজনৈতিক দলের একজন প্রবীণ নেতার পক্ষে ক্ষেত্রে সম্মান হানিকর। তারা আরও জানিয়েছে, এই ধরনের শব্দের ব্যবহার সমতার নীতি লঙ্ঘন করে। রাহুলকে পাঠানো নোটিসে আদর্শ আচরণবিধি এবং বাক স্বাধীনতা সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজস্থানে এক জনসভায় বক্তৃতায় রাহুল বলেন, “অপয়া.. অপয়া..বিশ্বকাপে আমাদের ছেলেরা ভালই খেলছিল... অপয়া গিয়ে হারিয়ে দিল। দেশের মানুষ ব্যাপারটা জানে।”
এখানেই থামেননি রাহুল। তিনি বলেন, “পকেটমার কখনও একা আসে না। তিনজন একসঙ্গে আসে। একজন সামনে থেকে আসে, একজন পিছন থেকে, আর এক জন একটু দূরে থাকে।” কংগ্রেস নেতার কথায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজ হল দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘোরানো। উনি টিভিতে আসেন, হিন্দু-মুসলমান নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেন, নোটবন্দি করেন, জিএসটি ঘোষণা করেন। আর সেই ফাঁকে আদানি পিছন থেকে এসে মানুষের টাকা নিয়ে চলে যায়।” সেই মন্তব্যের জেরেই এবার বিপাকে পড়লেন রাহুল।