শেষ আপডেট: 20th January 2025 18:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রেমঘটিত কারণেই মৃত্যু হচ্ছে অনেক পড়ুয়ার! কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার। তাঁর পরিষ্কার দাবি, প্রবল মানসিক চাপ নয়, প্রেমঘটিত কারণেই এমন মর্মান্তিক পরিণতি হচ্ছে অনেক পড়ুয়ার।
জানা গেছে, রবিবারই রাজস্থানের বুন্দিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকরা তাকে কোটায় লাগাতার পড়ুয়াদের আত্মহত্যার কারণ নিয়ে প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “‘আমার কথা অনেকেরই খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু ছেলেমেয়েদের প্রতি অভিভাবকদের আরও সতর্ক এবং যত্নশীল হতে হবে। সন্তানদের উপর কোনওরকম চাপ দেওয়া উচিত নয়। কারণ, চাপে পড়লে ওঁরা অবসাদে ডুবে যান।”
রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী আরও মনে করিয়ে দেন, “এ ক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধবদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে আত্মহত্যার জন্য দায়ী প্রেম।” পড়ুয়াদের মানসিক চাপের বিষয়টির পাশাপাশি প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণও আত্মহত্যার পিছনে বড় কারণ বলে মনে করছেন তিনি।
নতুন বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেই এখনও পর্যন্ত চারজন পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে এক জেইই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় তাঁর দাদুর বাড়ি থেকে। জানা গিয়েছে, তিনি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মনন শর্মা, বয়স ১৭। তিনি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। জেইই-র প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার অনেক রাত পর্যন্ত ভাইয়ের সঙ্গে পড়াশোনা করেন। শনিবার ভোরে তাঁকে ফোন করলেও উত্তর পায় না পরিবারের কেউ। তাঁর ভাই পাশের ঘর থেকে গিয়ে দেখেন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মনন।
তবে প্রেমের বাইরে যে প্রত্যাশার চাপও আত্মহত্যার পিছনে বড় কারণ সে কথাও পরে মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি তিনি। তাঁর কথায়, “সব পড়ুয়ারই নিজস্ব ক্ষমতা থাকে, পছন্দ থাকে। সেটা না বুঝে যদি পরিবারের লোকজন তাদের উপর জোর করে বিষয়টি চাপিয়ে দেন তাহলে মানসিক অবসাদ গ্রাস করতে বাধ্য। সেখান থেকে জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা।”
তবে এখানেই থামেননি মদন। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ছেলেমেয়েরা কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়ে বাবা-মায়েদের আরও সচেতন হতে হবে। ছেলেমেয়েদের সবকিছু তাঁদের জানতে হবে। কোটায় পাঠিয়ে দেওয়ার পর সন্তানদের নিয়মিত খোঁজ রাখতে পারেন না মা–বাবা। আর তখনই ছেলেমেয়েরা খারাপ পথে চালিত হয়। তবে লাগাতার পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজেদের দায় এড়িয়ে কীভাবে প্রেমকেই কাঠগড়ায় তুললেন শিক্ষামন্ত্রী তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।