দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরেও বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। ওই চার রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে কমিশন বলেছে, যে আধিকারিকেরা তিন বছরের বেশি সময় একই জেলায় আছেন তাদের অন্যত্র বদলি করতে। বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

এই চার রাজ্যের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট শেষ করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। গত জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিধানসভার ভোট করানোর পাশাপাশি ওই কেন্দ্র শাসিত এলাকাকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 

কিন্তু প্রশ্ন আগামী মাসের মধ্যে ভোট করানোর মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কি ফেরানো যাবে উপত্যকায়, প্রশ্ন নানা মহলের। গত দেড়-দু’মাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি লড়াই চলছে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা কৌশল বদলে এমনকী জম্মু এলাকাকেও টার্গেট করেছে। 

জম্মু-কাশ্মীরে শেষবার বিধানসভার ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবার রাজ্যে বিডিপি ও বিজেপির জোট সরকার গড়ে। কিন্তু পাঁচ বছর পূরণের আগেই সরকার ভেঙে যায়। ২০১৯-এ কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সাংবিধানিক  ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দিয়ে বিধানসভা ভেঙে দেয়। তার আগে থেকেই রাষ্ট্রপতি শাসনে ছিল রাজ্যটি। ৩৭০ প্রত্যাহারের পাশাপাশি রাজ্যটিতে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। লাদাখকে করা হয় পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরকে করা হয় বিধানসভা এবং রাজ্য সরকার-সহ কেন্দ্রের শাসনাধীন এলাকা। অর্থাৎ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। এখন দেখার জঙ্গি তৎপরতার মোকাবিলা করে অশান্ত রাজ্যটিতে ভোট করানো সম্ভব হয় কি না।