শেষ আপডেট: 11th June 2024 11:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দ্বিতীয়বার বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেই মঙ্গলবার পাকিস্তানকে কড়া বার্তা এস জয়শঙ্করের। তবে আপাত নরম সুর চিন নিয়ে। তিনি বলেন, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটানোয় সরকারের বিশেষ নজর থাকবে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের নীতিগত অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। পাকিস্তান যতক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে কিংবা মদত দিয়ে যাবে, ততক্ষণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনওমতেই উন্নতি হতে পারবে না বলে প্রথমদিনেই সাফ হুঁশিয়ারি দিলেন বিদেশমন্ত্রী।
২০১৯ সালে প্রথম বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন জয়শঙ্কর। তারপর থেকে এ পর্যন্ত চিন নিয়ে বহুবার বিরোধী দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিশেষত ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় অশান্তি, লালফৌজের আগ্রাসন, পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামোগত সাহায্য, তিব্বত এলাকার একাংশে সামরিক ঘাঁটি গেড়ে সেনা মোতায়েন করে রাখা নিয়ে বারবার বিরোধীদের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে সরকার।
এছাড়াও সমুদ্রপথেও চিনা আগ্রাসনের কোনও উপযুক্ত জবাব বা নিন্দা কোনওটাই শোনা যায়নি নয়াদিল্লির মুখে। কেবলমাত্র রাষ্ট্রসঙ্ঘে কিংবা বিদেশ সফরে গিয়ে এস জয়শঙ্কর চিনা আগ্রাসনের ফলে ভারতীয় ভূখণ্ডের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করে গিয়েছেন। এতদিন সংসদে বিরোধীরা দুর্বল ছিল বলে তেমন চাপের মুখে পড়তে হয়নি সরকারপক্ষকে। এবার শুধু বিরোধী জোট শক্তিশালী হয়েছে তাই নয়, এনডিএকেও শরিকদের মন জুগিয়ে চলতে হবে। ফলে পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রেও কাঁটা হতে পারে তৃতীয় মোদী জমানায়।
এদিন তিনি আরও বলেন, বিশ্ববন্ধু হিসেবে ভারত নিজেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাজির করতে পেরেছে। গোটা বিশ্বে এখন মহা সঙ্কট চলছে, আন্তর্জাতিক মহল দুভাগে বিভক্ত, চতুর্দিকে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা বজায় রয়েছে। তার মধ্যেও ভারত সকলের সঙ্গে সুষম ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে বলে তিনি ইঙ্গিত করতে চান।