শেষ আপডেট: 11th November 2024 10:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার বদলে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের জায়গায় সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতির আসনে বসবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। রবিবার প্রধান বিচারপতি হিসাবে চন্দ্রচূড়ের কার্যকাল শেষ হয়েছে।
বিচার বিভাগ থেকে বিদায় নেওয়ার দিনেই এক সাক্ষাৎকারে বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) চন্দ্রচূড় বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আট বছরের কার্যকালে তিনি বিচার ব্যবস্থাকে অনেকটাই বদলে দিতে পেরেছেন। তাঁর কথায়, আট বছর আগে যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখনকার সঙ্গে এখন বিচার বিভাগের অনেক ফারাক আছে।
চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টের আট বছরের কার্যকালের মধ্যে দু বছর প্রধান বিচারপতি ছিলেন। স্বভাবতই বিচারপতি ও প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণার সুযোগ পেয়েছেন। তবে তাঁর সময়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি অনেক দ্রুত হয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে। আবার সিএএ, সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে তাঁর সময়ে সুপ্রিম কোর্ট শুনানিতে সুবিচার করেনি বলে অভিযোগ আছে্। দীর্ঘ সময় মামলাগুলির শুনানি হয়নি।
সাক্ষাৎকারে চন্দ্রচূড় ঘৃণা ভাষণ নিয়ে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি তা বন্ধেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ঘৃণা ভাষণ এক ভয়ঙ্কর সমস্যা। সামাজিক মাধ্যম শক্তিশালী হওয়ার ফলে ঘৃণা ভাষণের বিপদ আরও বেড়েছে।
তবে চন্দ্রচূড় মনে করেন, ঘৃণা ভাষণ বন্ধ করাও সহজ কাজ নয়। সেই কাজ করতে গিয়ে বাক স্বাধীনতার বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। বাক স্বাধীনতায় যেন হাত না পড়ে।
চন্দ্রচূড়ের মতো অনেক বিচারপতিই মনে করেন, বহু ক্ষেত্রে ঘৃণা ভাষণকে সংজ্ঞায়িত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যক্তি ও সমাজ ভেদে শব্দের অর্থ, ব্যাখ্যা, প্রয়োগের ফারাক থাকে। ফলে ঘৃণা ভাষণ বলে কতিপয় কথা বা শব্দকে চিহ্নিত করা নেই। করা যায় না। তাছাড়া ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে ঘৃণা ভাষণের উপযুক্ত সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা দেওয়া নেই।
সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়েও নিজের অভিমত জানিয়েছেন। বিচারপতি হিসাবে সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক মামলার রায় দিয়েছেন তিনি। সেগুলির বেশিরভাগই ছিল সংরক্ষণ ব্যবস্থা রদ সংক্রান্ত। চন্দ্রচূড় সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, সংরক্ষণের প্রয়োজন আছে। কারণ সংরক্ষণ সমতা দেয়।