এই পরিস্থিতিতে নিজেই নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন চন্দ্রচূড়। তাঁর কথায়, পুরো বিষয়টি নিছক প্রশাসনিক নয়।
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়
শেষ আপডেট: 6 July 2025 15:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এখনও পর্যন্ত সরকারি বাসভবন খালি না করায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি লিখে জরুরি ভিত্তিতে বাংলো খালি করার ব্যবস্থা নিতে বলেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে নিজেই নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন চন্দ্রচূড়।
তাঁর কথায়, পুরো বিষয়টি নিছক প্রশাসনিক নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে তাঁর দুই বিশেষভাবে সক্ষম দত্তক কন্যার প্রয়োজন।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমার মেয়েদের বিশেষ ধরনের যত্ন দরকার। বড় মেয়ের জন্য এমন একটি ঘর তৈরি হয়েছে যেখানে ICU-র মতো সুবিধা রয়েছে। এই ধরনের নির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে পারে এমন বাড়ি হুট করে পাওয়া অসম্ভব। তাই আমি কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছি যেন একটা অস্থায়ী বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।”
তিনি আরও জানান, সেই অস্থায়ী বাড়ির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। বলেন, “আমার প্রয়োজন অনুযায়ী অস্থায়ী বাংলো তৈরি হচ্ছে। ওটার কাজ শেষ হলেই পরদিনই আমরা সপরিবারে সরে যাব। আমাদের সমস্ত গুছিয়ে নেওয়া হয়ে গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, দিল্লির ৫, কৃষ্ণ মেনন মার্গ-এর ‘টাইপ এইট’ বাংলোটি দেশের প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন হিসেবে নির্ধারিত। বিচারপতি চন্দ্রচূড় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু এখনও তিনি সেই বাসভবনেই রয়েছেন।
তাঁর উত্তরসূরি, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই কেউই এই নির্দিষ্ট বাংলোতে ওঠেননি। তাঁরা তাঁদের আগের সরকারি বাড়িতেই থেকে গিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিচারপতি চন্দ্রচূড় গত ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খান্নাকে লিখিতভাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত থাকার অনুমতি চান।
যদিও তাঁর জন্য ১৪, তুঘলক রোডের একটি বাংলো নির্ধারিত করা হয়েছিল, কিন্তু দিল্লিতে দূষণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে সেই বাংলোর মেরামতির কাজ আটকে যায়।
আবাসন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, চন্দ্রচূড় প্রতি মাসে ৫,৪৩০ টাকা লাইসেন্স ফি দিয়ে আপাতত ওই বাংলোতেই থাকতে পারবেন। কিন্তু মে মাস পেরিয়েও তিনি সেখানে রয়ে গিয়েছেন। ৩১ মে পর্যন্ত অতিরিক্ত থাকার জন্য তিনি বিচারপতি খান্নাকে মৌখিক আর্জিও জানিয়েছিলেন।