শেষ আপডেট: 10th October 2024 12:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওসামা বিন লাদেনের উত্তরসূরি আল কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে কোতল করা মার্কিন ড্রোন এবার হাতে পাচ্ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে। মোট ৩১টি এমকিউ-নাইন বি (MQ-9B) সি গার্ডিয়ান ড্রোন কিনছে ভারত। মার্কিন এই ড্রোন কিনতে খরচ পড়বে ২৬ হাজার কোটি টাকা।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জনক এই ড্রোনের পোশাকি নাম এমকিউ-নাইন বি সি গার্ডিয়ান। এটি শত্রুকে খুঁজে বের করে কুচিকুচি করে কেটে ফেলতে পারে। এবং তাও একেবারে নিঃশব্দে। চুক্তি অনুসারে আমেরিকা এই ড্রোন সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত পরামর্শ এবং দেশি শক্তিশালী ড্রোন নির্মাণে ভারতকে সাহায্য করবে বলে সম্মত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তির ফলে ভারত ভবিষ্যতে আরও ভয়ঙ্কর শক্তিসম্পন্ন ড্রোন নির্মাণে সক্ষম হবে। যা যুদ্ধ কৌশলের দিক থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে দেশকে। আমেরিকা থেকে আসা ৩১টি ড্রোন দেশের চারটি ঘাঁটিতে রাখা হবে। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশেরই দুটি ঘাঁটি রয়েছে।
চারটি ঘাঁটি হল- চেন্নাইয়ের আইএনএস রাজাজি, গুজরাতের পোরবন্দর। এই দুটি নৌসেনার অধীনে এবং উত্তরপ্রদেশের দুটির মধ্যে একটি সেনাবাহিনী, অন্যটি বায়ুসেনার অধীনে। গোরক্ষপুর ও সারসাওয়া। কারণ এই দুই জায়গাতেই লম্বা রানওয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় কারণ হল, উত্তরপ্রদেশের এই দুই জায়গা থেকে চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে নজরদারিতে সুবিধা হবে। ১৫টি ড্রোন থাকবে সমুদ্রপথে নজরদারির জন্য এবং বাকিগুলি চিন-পাকিস্তান সীমান্তে পাহারা দেবে।
আমেরিকা এই চালকহীন আকাশযানকে খুনি-শিকারি ড্রোন নাম দিয়েছে। এটা দূরপাল্লার আকাশপথে নজরযান এবং শত্রুকে নিঃসারে খতমে সক্ষম। এই ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। আমেরিকার জেনারেল অ্যাটমিক্স কোম্পানি এই ড্রোনের নির্মাতা। এই ড্রোনকে যে কোনও অপারেশনে ব্যবহার করা যায়। যেমন- আকাশপথে পাহারা, তথ্য সংগ্রহ (ছবি তোলা) অথবা শত্রুর লুকানো ঘাঁটিতে হামলা করা। অন্যান্য ড্রোনের থেকে দূরপাল্লা এবং উঁচুতে উড়তে পারে। ১৯০০ কিমি পথ পেরতে সক্ষম এই ড্রোন ১৭০০ কেজির অস্ত্র বহন করতে পারে। দুজন কম্পিউটার অপারেটর জমি থেকে এই ড্রোনকে ভিডিও গেম খেলার মতো পরিচালনা করতে পারে।
এই ড্রোনের দৈর্ঘ্য ৩৬.১ ফুট, ডানা ৬৫.৭ ফুট, উচ্চতা ১২.৬ ফুট, খালি অবস্থায় ওজন ২২২৩ কেজি। এতে ১৮০০ কেজি জ্বালানি ভরা যায়। গতিবেগ ৪৮২ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। হাজার ফুট উচ্চতা থেকে শত্রুকে চিহ্নিত করতে পারে এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করতে পারে। ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এই ড্রোন।