ছবিটি প্রতীকি
শেষ আপডেট: 7th April 2025 17:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে সাতদিন ধরে লাগাতার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে। মাদক খাইয়ে ২৩ জন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এপর্যন্ত ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। খোঁজ পাওয়া যায়নি ১১ জনের। জানা যায়নি তাদের পরিচয়ও।
২৯ মার্চ বারাণসীর পিশাচমোচন এলাকায় এক বন্ধু সঙ্গে হুক্কা বারে গেছিলেন ওই তরুণী। সেদিনই নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর পরিবার ৪ এপ্রিল একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে, সেদিনই পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায়। পরে ৬ এপ্রিল অর্থাৎ গতকাল গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানা গেছে, নির্যাতিতা একটি ক্রীড়া সংক্রান্ত কোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং নিয়মিত ইউপি কলেজে দৌড়তে যেতেন। ওই দিন হুক্কা বারে তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুবক পৌঁছন। অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁকে প্রথমে একটি ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়, এরপর সিগরা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার গণধর্ষণ করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন নির্যাতিতার পূর্বপরিচিত। কারও সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে আলাপ তো কেউ তাঁর প্রাক্তন সহপাঠী।
ভারুণা জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) চন্দ্রকান্ত মীনা এনিয়ে বলেন, 'মেয়েটি প্রথমে স্বেচ্ছায় তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। নিখোঁজ ডায়েরি ৪ এপ্রিল দায়ের হওয়ার পর তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তখন তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। ৬ এপ্রিল একটি পৃথক অভিযোগ আসে, যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল মেয়েটি নাবালিকা, তবে তা সঠিক নয়। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক।'
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হুক্কা বারের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।